মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালির মানুষরা সেখানে আইনের শসন চাইছেন। আর এবার এই সন্দেশখালিতে আইন রক্ষায় এবার তৎপর হলের রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিজিপি সাফ জানিয়ে দিলেন, কেউ আইন ভেঙে থাকলে, তিনি গ্রেফতার হবেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সন্দেশখালি এলাকায় টহল দিচ্ছেন রাজীব কুমার। পূর্ত দফতরের বাংলো থেকে বেরিয়ে ধামাখালীর লঞ্চ ঘাটের উদ্দেশে সকাল সকাল রওনা ১িয়েছেন তিনি। তার পর আবার লঞ্চ নিয়েই তিনি রওনা ছোট শেয়ারা এলাকার দিকে। এদিন সকালে লঞ্চে উঠে টহল দিতে বার হওয়ার আগে ডিজিপি বলেন, “আমরা এখানে এসেছি সকলের সঙ্গে কথা বলতে। আমাদের দিক থেকে যা যা করণীয়, অবশ্যই আমরা তা করব। যে সমস্যা আছে, আমরা তা শোনার এবং সমাধান করার চেষ্টা করছি।” তবে সত্যিই কী রাজীব কুমার পারবেন সন্দেশখালিতে শান্তি পুনঃস্থাপন করতে? সেই প্রশ্ন কিন্তু বড় করে সামনে আসছে। কেন না শেখ শাহজাহান ধরা না পড়লে সন্দেশখালিতে শান্তি ফিরবে না বলে দাবি করছেন সন্দেশখালির ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দারা। তাদের আতঙ্ক যে কোনও ভাবে উত্গম সর্দার এবং শিবু হাজরা যদি জামিন পায় তাহলে গ্রামবাসীদের উপর অত্যাচার আবার নেমে আসবে। এখনও শেখ শাহজাহান অন্তরালে। তাই শেখ শাহজাহানকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি করছে সন্দেশখালির মানুষেরা।
এদিকে আগামী ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে শাসকদল তৃণমূলের সভা। সন্দেশখালির একাংশের মানুষ দাবি করছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওইদিন সন্দেশখালিতে আসুন, কথা শুনুন সাধারন মানুষের। কি ভাবে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকে শেখ শাহজাহান বাহিনী অত্যাচার চালাচ্ছে উত্তম এবং শিবুর মাধ্যমে সেটা তিনি নিজের কানে শুনে যান। এদিকে বিরোধীরা বলছেন, ডিজিপি-র সন্দেশখলিতে তৎপরতা আসলে তৃণমূলের আসন্ন সভার প্রস্তুতি সুনিশ্চিত করা। কেন শেখ শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করছেন না? তাহলে কী ডিজিপির আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছে না সন্দেশখালির মানুষ? সন্দেশখালিতে কন পাতলে কিন্তু এখনও এখানকার মানুষের আতঙ্কের হৃদস্পন্দন কানে আসছে। প্রশ্ন একটাই, প্রশাসন কী পারবে এদের জীবনে, মনে শান্তি ফিরুয়ে আনতপ?