এক আইএসএফ কর।মী খুন ও এক প্রমোটারের কাছ থেকে তোলাবাজির অভিযোগে ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করল উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুন তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে বলে একটি সূত্রের খবর। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, খুনের অভিযোগে ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক লালবাজারে আনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে পুলিশের তরফে এই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ নেতাকে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল তৃণমূল নেতা আরাবুলদের নামে। সেই মামলাতেই বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু আচমকা আট মাস পর কেন গ্রেফতার করা হল, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, “আরাবুলের গ্রেফতারির পিছনে রাজ্যের শাসকদলের অভিসন্ধি আছে। এতোদিন তাঁকে না ধরে ভোটের মুখে ধরেছে, যাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে জামিনে ছাড়িয়ে আনতে পারে গুন্ডামো করার জন্য।
আমরা সবাই জানি, পঞ্চায়েত ভোটের সময় দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা। মনেনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভেটের পর পর্যন্ত ভাঙর জুড়ে বোমাবাজি, গোলাগুলি, খুন এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গোলমালে জড়িয়েছে তৃণমূল এবং আইএসএফ। অভিযোগ, আইএসএফের একাধিক কর্মীর মৃত্যু হয় তৃণমূলের এই নেতা আরাবুল ইসলাম এবং তৃণমূল বিধায়ক সওকত মেল্লার নেতৃত্বে। পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ধানকল হাতিশালের মোড় থেকে অনতি দূরে ভগবানপুর অঞ্চলে একটি বোমাবাজির কেস হয়। বিনায়ক গ্রুপ নামে একটি কোম্পানি ওই অঞ্চলে ৪০ বিঘা জমি নিয়েছে। তারা নিজেদের জমির দখল নিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীকালে আরাবুল ওই কোম্পানির থেকে ৬০ লক্ষ টাকা নিয়েছে পাঁচিল দিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু তারপরেও ওই সংস্থা জমিতে পাঁচিল দিতে পারছিল না। বিনায়ক গ্রুপের মালিক সোজা কালীঘাটে অভিযোগ করে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। তারপরই পুলিশের এই পদক্ষেপ। তবে শেখ শাহজাহানের কথা কি মুখ্যমন্ত্রী জানেন না? কি ভাবে শাহ জাহানের অনুগামীরা ইডির কর্মীদের মাথা ফাটানোর পরও ছাড় পেয়ে গেলেন? কি ভাবে শেখ শাহজাহান এক মাস পরেও জেলের বাইরে অথচ আরাবুল পুলিশের জালে।