মহানগর ডেস্ক: তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গের কাজ করেছে। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে না পেরে এ ভাবেই নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন অর্জুন সিং।
রবিবার অভিষেক যখন ব্রিগেডে জনগর্জন সভায় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছেন তখন মঞ্চে উপস্থিত অর্জুন সিং। অভিষেক ঘোষণা করলেন, “ব্যারাকপুরে প্রার্থী হলেন পার্থ ভৌমিক।” মঞ্চে তখন দাঁড়িয়ে অর্জুন সিং।
সভা শেষে অর্জুন সিং বললেন, “আমায় যে তৃণমূলে ডেকে এনেছিলেন তিনি বলেছিলেন ব্যারাকপুরে কাজ করতে হবে। ব্যারাকপুরেই আমায় প্রার্থী করা হবে। এটা দেড় বছর আগের কথা। আমায় কয়েকদিন আগে বলা হয়েছিল ব্যারাকপুর নয়, অন্য কোথাও। তো আমি বলেছি আমি ব্যারাকপুরেই কাজ করতে চাই। এটা জানলে আমি আসতাম না। এটা ব্রিচ অফ ট্রাস্ট।”
রাজনীতিতে “ট্রাস্ট” বলে কিছু কি হয়? এই ঘটনা আবার সেই কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কেননা ব্যারাকপুরে প্রার্থী হতে না পেরে মুহূর্ত কালক্ষেপ না করে অর্জুন সিং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সন্ধ্যায় অর্জুন অনুগামীদের দ্বারা অবরোধ হয়েছে ব্যারাকপুর ট্রাঙ্ক রোড।
অন্যদিকে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতার সঙ্গে দেখা করে দিল্লি গিয়ে সটান বিজেপিতে যোগ দিয়ে অর্জুন সিং যে ধাক্কা দিয়েছিলেন তৃণমূলকে, তাহলে কি সেই ধাক্কার পাল্টা আঘাত অর্জুনকে করলেন মমতা এবং অভিষেক?
তবে এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য অর্জুনকে নিয়ে করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, “দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার জন্য তৃণমূলের অর্জুন সিং ভোট দিয়েছিলেন।”
বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেছেন, “অর্জুন সিংয়ের নামে ১০০ টা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁকে নাজেহাল করেছিল তৃণমূল। তাই অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমূূলে যোগ দিয়েছিলেন। তখনও বলেছি, এখনও বলছি, অর্জুন সিংয়ের নামে ১০০ টা মিথ্যা মামলা তৃণমূল করেছিল তাঁকে ফাঁসানোর জন্য।”
তবে শুভেন্দু এবং সজলের অর্জুন প্রীতি শুনে মনে হচ্ছে ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে আবারও হয়তো অর্জুন সিং প্রার্থী হবেন।
এদিকে পার্থ ভৌমিক বলছেন, “আমি তৃণমূলের প্রতিনিধি মাত্র। আমার বিশ্বাস অর্জুন সিংকে দল সম্মানজনক কোনও পদ দেবে। অর্জুন, আমি, আমরা একসঙ্গে ভোটের কাজ করব।