মহানগর ডেস্ক: মঙ্গলের সকাল যেন দুঃসংবাদে ভরা। আবারও নক্ষত্রপতন বিনোদন জগতে৷ নতুন বছরের শুরু থেকেই মৃত্যু সংবাদ একাধিক নক্ষত্রের। ২০২৪ সালের শুরু থেকেই ছেড়ে চলে যাচ্ছেন একের পর এক তারকারা৷ ঋতুরাজ সিং এর পর মঙ্গলবার প্রয়াত হলেন টলিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্র তথা জনপ্রিয় কিংবদন্তি অসীমা মুখোপাধ্যায়(Aashima Mukherjee)। ২০ ফ্রেব্রুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন স্বনামধন্য গায়িকা৷ নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অসীমা মুখোপাধ্যায়৷ বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। উত্তম কুমারের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সংযোগ।
প্রযোজক অসীমা মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার ভোর ৫:৩৫ নাগাদ নিজের বাড়িতেই ঘুমের মধ্যে পরলোকগমন করেন। পারকিনসনস সমস্যায় ভুগছিলেন। সেখান থেকে ঘুমের মধ্যেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। তাঁকে কেওড়াতলা শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সেখানেই। ভুগছিলেন বেশ কিছুদিন ধরেই।ঘুমের মধ্যেই মা চলে গেলেন। জানিয়েছেন মেয়ে পম্পি ভট্টাচার্য। হাসিখুশি অসীম দেবীকে সেভাবে ভুগতে হয়নি। গায়িকা, সুরকার, প্রযোজক হিসেবে টলিউডে দীর্ঘ কেরিয়ার ছিল অসীমা মুখোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার প্রয়াত হলেন তিনি। তাঁর গান ‘বড় একা লাগে এই আঁধারে’ এখনও ফেরে লোকমুখে।
তাঁর সুরে চৌরঙ্গী সিনেমার জন্য ‘বড় একা লাগে এই আঁধারে’ এখনও জনপ্রিয় সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে। মহানায়ক উত্তম কুমার তাঁকে ‘দিদি’ বলে ডাকতেন। নিতেন ভাইফোঁটাও। অসীমা মুখোপাধ্যায়ের আরেক পরিচয় তিনি অভিনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। তাঁর প্রয়াণে বাংলা সঙ্গীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২০ সালে তাঁকে ‘সঙ্গীত মহাসম্মান’ প্রদান করে। অসীমা মুখার্জির প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। অসীমা মুখার্জির আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা।