মহানগর ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় শুনে কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এই জোচ্চর মুখ্যমন্ত্রীর আজকেই পদত্যাগ করা উচিত। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি কান ধরে টেনে নামিয়ে দিতাম। রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে রাজ্যে ভোট হওয়া উচিত।” অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় যা রায় দিয়েছিলে, যার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চ এবং সুপ্রিম কোর্টে যায়। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা ডিভিশন বেঞ্চে পাঠায়। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিচন বেঞ্চ যে রায় দেয় সেই রায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের সঙ্গে মিলে গেল।
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বলেন, “এই জুডিশিয়ারি এতো পবিত্র, যারা ভারতের নাগটিকদের পক্ষে কাজ করে। আমি এখানে কাজ করতে পেরে গর্বিত। মিথ্যাচারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর মন্ত্রিসভা হিন্দু, মুসলিম উভয় যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের ঠকিয়েছেন। মানুষের উচিত এদের চিনে নেওয়া।”
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হয় যাদের চাকরি গেল তাদের সবাই কি অযোগ্য? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওয়েমার শিট পুনর্মূল্যায়নের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তাই আর কোনও সন্দেহ থাকে না যে যোগ্যরা চাকরি পাবে। আমার ভাবতে লজ্জা লাগছে এমন জোচ্চর মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে আমরা আছি। তাঁর এক্ষুনি পদত্যাগ করা উচিত। রাষ্ট্রপতি শাসনে রাজ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত।”
অভিজিৎবাবু বলেন, “আমরা জোচ্চুরি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আদালতে ধরা পড়ে গেছে। আমার কাছে আগেই ধরা পড়েছিল। ধরা পড়া উচিত তাঁদের যাঁরা ক্ষমতায় থেকে সুরক্ষা বলয়ে আছেন। সুরক্ষা বলয় ছেড়ে বাইরে আসুন, সিবিআই গ্রেফতার করতে পারে কি না দেখা যাবে। সুরক্ষা বলয়ে থাকলেও গ্রেফতার হতে পারেন। এই মুখ্যমন্ত্রীর আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। ডিভিশন বেঞ্চ আরও কঠোর হয়েছে, এতোটা কঠোর আমি হতে পারিনি। আমায় তো এসব নেতারা হুমকি দিয়েছিল জজিয়তি ছেড়ে রাজনীতিতে আসতে আমি এসেছি, তাঁরা এখন কোথায় যাঁরা আমায় বলেছিলেন জজিয়তি ছাড়তে? এরা জোচ্চর, এঁদের ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত।”