Home Bengal ‘মেডেল দেওয়া উচিৎ’, হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার শিকার বারাকপুরের CP, কিন্তু কেন?

‘মেডেল দেওয়া উচিৎ’, হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার শিকার বারাকপুরের CP, কিন্তু কেন?

'মেডেল দেওয়া উচিৎ’, হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার শিকার বারাকপুরের CP, কিন্তু কেন?

by Mahanagar Desk
32 views

মহানগর ডেস্ক: গত বছরের ২৩ জুন। খড়দহ থানা এলাকার টিটাগড়ের লক্ষ্মীঘাট এলাকার ঘটনা। বাড়ি ভাড়ার টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসার সৃষ্টি, যাতে আহত হন বাড়ির তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু পরিস্থিতি পরে আরও জটিল হয়ে পড়ায় তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি, ওইদিনই মৃত্যু হয় গোবিন্দর। এরপর থেকেই শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু তদন্তে গাফিলতি থাকায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও মহম্মদ সাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের কাছে তীব্র ভর্ৎসিত হতে হয় বারাকপুরের সিপি অলোক রাজোরিয়া কে। তিনি আদৌ খুনের তদন্ত করছিলেন কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন কলকাতায় হাইকোর্টের বিচারপতিগণ। তাঁরা সিপিকে কটাক্ষ করে বলেন, “রাজ্যে এমন সিপি ও এই ধরণের তদন্তকারী অফিসার থাকলে তদন্তের অবস্থা কী হবে? যা তদন্ত করছেন প্রত্যেককে পুলিশ মেডেল দেওয়া উচিৎ। রাজ্যের গর্ব তো আপনারা।” তবে প্রয়াত গোবিন্দ যাদবের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে খুনের কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু পরিবার বলছে, খুনের ধারা নাকি যোগই করেনি পুলিশ। সুতরাং জল গড়ায় আদালতে। বুধবার সেই মামলারই শুনানি করলেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন বিচারপতি সিপিকে প্রশ্ন তুলে বলেন, “কেন খুনের ধারা রুজু করা হয়নি এতদিন?” মৃতের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেখে অবাক ডিভিশন বেঞ্চ। কারণ, ওই রিপোর্টে খুনের মতো আঘাতের কথা উল্লেখ থাকলেও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার বদলে শুধুমাত্র ৩০৪ নম্বর অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারা যোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “তদন্তের গাফিলতির দায় এড়াতে পারেন না এসপি। লঘু ধারা দেওয়ার কারন কী? অভিযুক্তদের হেফাজতে রেখে সিবিআই জেরা হওয়া উচিৎ।”

You may also like