মহানগর ডেস্ক : লোকসভা ভোট এখনও শুরু হয়নি। এর মধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। যা গত পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০২১ -এর বিধাবসভা নির্বাচনকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। আর এমনই সংঘর্ষ ও রক্তপাতের ঘটনা বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে রবিবার হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ২০২১-এর নির্বাচনী হিংসার রক্তপাতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলার রাজনীতিতে ফের রক্তপাত। বাংলার বিজেপি কার্যকর্তারা ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূলের গুন্ডাদের দ্বারা নির্মমভাবে আক্রন্ত ও লাঞ্ছিত হয়েছে। হোসেন শেখ; ক্যানিং পূর্ব বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সহযোগী; সওকত মোল্লা; যার খ্যাতি সন্দেশখালীর শেখ শাহজাহানের মতো, সে জঘন্য অপরাধ করেছে। বিভাস মন্ডল এবং সুব্রত দাস সহ আমাদের কয়েকজন কার্যকর্তা গুরুতর আহত, তিনি ক্যানিং পূর্ব মন্ডলের ৩ নং সম্পাদক ও মন্ডল সভাপতি। তাঁদের চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করছি, যদি তারা ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট-পরবর্তী সহিংসতার পুনরাবৃত্তি এবং ২০২৩-এ পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো রক্তপাত রোধ করতে চায়, তাহলে এখনই পদক্ষেপ করার সময়। দয়া করে হোসেন শেখের মতো লোকদের জেলে রাখুন এবং সওকত মোল্লার মতো লোকদের পর্যবেক্ষণে রাখুন, কারণ তাঁর কাছে ভোট কারচুপির যন্ত্রপাতি রয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার এটাই একমাত্র উপায়।”
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ যখন দাবি করছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, জল,রাস্তা, আলো থাকার পর আমরা ৩০ থেকে ৩৫ টা আান পাব না কেন?”, তখন ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার জীবনতলায় বিজেপির কর্মীসভায় কার্যকর্তাদের উপর তৃণমূলকে কেন আক্রমণ করতে হচ্ছে? এই প্রশ্ন উঠছে। জীবনতলার ঘটনায় যদিও বিজেপির যার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলছেন সেই তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমাদের কর্মীদেরই বিজেপি আক্রমণ করেছে।”