মহানগর ডেস্ক : শনিবার বিজেপি আরও এক দফা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। এই তালিকায় বাংলার বীরভূমনও ঝাড়গ্রামের দুই প্রার্থী রয়েছেন। মোট ১১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার। বীরভূম ও ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে যে দু’টি নাম নিয়ে জল্পনা ছিল, তালিকায় সেই দু’জনই রয়েছেন। বীরভূমের প্রার্থী হলেন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে প্রার্থী করা হয়েছে চিকিৎসক প্রণত টুডুকে। ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিয়োলজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন প্রণত টুডু। এই দুজনই সদ্য চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন।
দেবাশিস ধর ২০১০ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। সম্প্রতি তিনি মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠান। ইস্তফার কারণ হিসাবে তিনি বলেছিলেন, “ব্যক্তিগত কারণে” তিনি ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ইস্তফাপত্রে লিখেছিলেন, তিনি আইপিএসের গণ্ডী পার করে জীবনের অন্যান্য সামাজিক এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্যপূরণ করতে চান। তখন থেকেই জল্পনা শুরু। রাষ্ট্রপতির কাছেও তাঁর ইস্তফা পাঠান দেবাশিস ধর।
এই দেবাশিস ধর কোচবিহারের পুলিশ সুপার পদে ছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের সময় তিনিই ওই জেলার এসপি ছিলেন। সেই ভোটেই শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। ইস্তফা দেওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের এসপি পদের “কম্পালসরি ওয়েটিং”-এ ছিলেন দেবাশিস ধর।
এদিকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রণত টুডু ইস্তফা দেওয়ার পরই শোনা যাচ্ছিল এ জেলার লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন এই চিকিৎসক। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী কালীপদ সোরেন। সাঁওতালি সাহিত্যিক তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বি এবার চিকিৎসক প্রণত টুডু।
তাঁর বিরুদ্ধে সদ্য অবসর নেওয়া আইপিএস বীরভূমে প্রার্থী হয়েছেন জানার পর এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় বলেন, “আমি শুনেছি। ভালো লড়াইটা রাজনৈতিক ভাবেই হবে।”