মহানগর ডেস্ক : বিজেপি-সিপিএম-এর বসিরহাট এসপি অফিসে জোড়া অভিযান ঘিরে সকাল থেকেই এলাকা উত্তপ্ত। বিজেপি সুকান্ত মজুমদার ইতিমধ্যেই উত্তর ২৫ পরগনার হৃদয়পুর থেকে রেল পথে রওনা হয়েছেন।
সুকান্ত বলেন, “হাতিশালা থেকে বিভিন্ন রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড করেছে। আমি এসপিকে প্রশ্ন করবো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা এসপি সাহেবের বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে এই ডগরণের ব্যবহার যদি শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরার করতো তাহলে তাঁরা কি করতেন? এই ধরণের যৌনবাসনাপূর্ণ তৃণমূল নেতাদের দল চিড়িয়াখানা বানিয়ে রেখে দিক। এদের সমাজে থাকার যোগ্যতা নেই। আমরা মনে করছি সন্দেশখালির মহিলাদের বয়ান বদলের চেষ্টা করা হবে। তাই রাজ্যপালকে বলছি সন্দেশখালিতে আধাসেনা নামানো হোক।” সুকান্ত মজুমদার ১০০ কর্মী নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার হৃদয়পুর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে বসিরহাট রওনা হন। এদিকে সিপিএম নিরাপদ সর্দারের মুক্তির প্রতিবাদে আজই বসিরহাটের এসপি অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছে। বসিরহাট এসপি অফিসে অশান্তি রুখতে সংগ্রামপুরে ৫০০ মিটার এলাকা পুলিশ দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার অমিতাভ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে যুব কংগ্রেসের একটি দল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের রামপুরে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে যুব কংগ্রেস নেতৃত্বের ধস্তাধস্তি হয়।
এদিকে ডিআইজি-সিআইডি পদমর্যাদার দুই মহিলা আধিকারিকের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বিশেষ দল গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এই দলটি মঙ্গলবার সন্দেশখালি পৌঁছলে গ্রামের মহিলারা তাঁদের কাছে শেখ শাহজাহান, উত্তম সর্দার, শিবু হাজরার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। পাশাপাশি গ্রামের মহিলারা পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করে বলেন, রাতে গ্রামের মহিলাদের ডেকে পাঠালে আমরা যখন প্রতিবাদ করি তখন আমাদের মারা হয়। কাজ করিয়ে টাকা দেওয়া হয় না। এই নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে পুলিশ আমাদের বলে শাহজাহান, শিবু, উত্তমের কাছে যান। আমাদের রাতবিরাতে ডেকে মিটিংয়ের নাম করে গেটে তালা দিয়ে আটকে রাখা হতো। আজ ১০ সদস্যের বিশেষ দলের কাসিক্সহে এই অভিযোগ জানান গ্রামের মহিলারা। এদিকে জাতীয় মহিলা কমিশন মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে পৌঁছয়। এখন দেখার বিজেপি-সিপিএমকে শেষ পর্যন্ত এসপি অফিসার কাছে পুলিশ ঘেঁষতে দেয় কি না।