মহানগর ডেস্ক: বঙ্গ বিজেপির ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন পরিচালন কমিটি তৈরি হয়েছে। কমিটির প্রথম নাম বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তারপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর এবং জন বার্লা। এদের নামের পরেই দিলীপ ঘোষের নাম আছে, আছে প্রাক্তন আরআএক বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার নামও।
এই মুহূর্তে দিলীপ ঘোষ রাজ্য বা সর্বভারতীয় কোনও ক্ষেত্রেই কোনও দায়িত্বই নেই। বর্তমানে তিনি তাঁর নিজের আসন ছাড়া অন্য এলাকা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাচ্ছেন না। তবে রাজ্য বিজেপি যে, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপকে লোকসভা নির্বাচনেও গুরুত্ব দিতে চায় সেই বার্তা বঙ্গ বিজেপির লোকসভা নির্বাচন পরিচালন কমিটি দিল। দিলীপের পাশাপাশি বাড়ল রাহুল সিনহার গুরুত্বও। এই নির্বাচন পরিচালন কমিটি তৈরি হয়েছে ২০ জনকে নিয়ে। এর মধ্যে আছেন রাজ্যের পাঁচজন সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, অগ্নিমিত্রা পাল, দীপক বর্মণ এবং জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও রয়েছেন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধন্দ। সেই হিসাবে রাজ্য বিজেপির এই নির্বাচন পরিচালন কমিটিতে তেমন কোনও চমক বা চটক নজরে আসছে না। বিজেপির অন্য কোনও গণসংগঠনের নেতৃত্ব কমিটিতে জায়গা পায়নি তবে মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনি পাত্র পদাধিকার বলে এই কমিটিতে আছেন।
দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকদের ভিতর থেকে জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কে মূলত রাজ্য নেতা হিসাবে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে রাখা হয়েছে। এছাড়াও কমিটিতে বড় ভূমিকায় থাকছেন অমিতাভ চক্রবর্তী এবং সতীশ ধন্দ। বাকিরা থাকছেন প্রচারের দায়িত্বে। এর উপরে থাকবেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত চার কেন্দ্রীয় নেতা। পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, দুই সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। আশা লাকড়া কমিটিতে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রয়েছেন। একই ভাবে রয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল, যাঁর উপর গোটা দেশে যুব মোর্চার পরিচালন ভার রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি বাংলা, ওড়িশা ও তেলঙ্গানার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। সুনীল বনসল এই তিনটি রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন থেকে শুরু করে অন্য সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দূত হিসাবে কার্তব্যরত থাকছেন।