মহানগর ডেস্ক : বাতিল আধার কার্ড! বিগত কয়েকদিন ধরেই এই ইস্যুতে চরমে উঠেছিল শাসক-বিরোধীদের তরজা। এবার সেই আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় ইস্য়ুতে নতুন করে বিতর্কের সূত্রপাত হল বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে। সম্প্রতি আধার নিয়ে বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিওতে হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আপনারা বিজেপি ছাড়া অন্য কোথাও দেবেন না, এটা কিন্তু অত্যন্ত দয়া পরবশত আপনাদের আধার কার্ড খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য নেতৃত্ব, ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব, তাঁদের অনুরোধে। সেখানে আবার ঠাকুর মশাইও রয়েছেন, শ্রদ্ধেয় শান্তনু ঠাকুর মহাশয়, আমাদের মাননীয় মন্ত্রী, তিনিও দিল্লিতে দরবার করেছেন এই নিয়ে, নিঃসন্দেহে আমিও জানি। এই যে আধার কার্ডটা আপনারা ফিরে পেয়েছেন, প্রাণ ফিরে পেয়েছেন। এই প্রাণ যদি ফিরিয়ে না দিত, আপনাদের করার কিচ্ছু ছিল না। আন্দোলনে নামবেন? সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার হবেন, আপনি তো বিদেশি। আপনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট করিয়ে নিয়ে এসে এখানে থাকতে পারেন না ভিসা শেষ হয়ে গেলে। আপনি বলবেন, দেশভাগ করেছিল কারা? আমাদের কাছে শুনে কি দেশভাগ করেছিল? আমরা কোথায় যাব? কোথায় যাবেন তা কে জানে? ভারতবর্ষ কি হরি ঘোষের গোয়াল নাকি?’তৃণমূল কংগ্রেস এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিওটি পোস্ট করার পর থেকেই ছড়াচ্ছে উষ্ণতা। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেছি মহানগর ২৪ * ৭।
Asim Sarkar, @BJP4Bengal MLA from Haringhata, issues an OPEN THREAT: Either vote for BJP or get your Aadhaar Card cancelled!
What kind of DICTATORSHIP is this? Are BJP’s THUGS trying to intimidate us?
Let it be clear: As long as Smt. @MamataOfficial is alive, every resident of… pic.twitter.com/rN59nCTJKm
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) February 24, 2024
এখন প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় জাবাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছিলেন যে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছিলেন দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে, সেখানে এমন কথা কী ভাবে বললেন অসীম সরকার। কটাক্ষের সুরে ভিডিও পোস্ট করে শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়,’হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন, হয় বিজেপিকে ভোট দিন, নয়তো আপনার আধার কার্ড বাতিল করুন! এটা কি ধরনের একনায়কতন্ত্র? বিজেপির ঠগরা কি আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে? এটা স্পষ্ট করে দেওযা যাক যতক্ষণ শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে আছেন, বাংলার প্রতিটি বাসিন্দা নিরাপদ। সবাই নাগরিক থাকবেন!’