মহানগর ডেস্ক : ১৯০৬ কেটি টাকা বন্ডের মাধ্যমে পেয়েছে তৃণমূল। অথচ শনিবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বললেন, “কারা টাকা দিয়েছে তৃণমূল জানত না। তৃণমূল ভবনে ড্রপ বক্স থাকত। সেখানে এসে যিনি যা দিতেন, দিয়ে যেতেন। হয়তো উন্নয়নের জন্য, তৃণমূলকে ভালোবাসে বলে তারা টাকা দিয়েছে। আমরা ড্রপ বক্স খুলেছি, যা পাওয়া গেছে, ব্যাঙ্কে দিয়েছি।বন্ডে একটা আলফা নিউমারিক নাম্বার লেখা থাকত,তাই তৃণমূল জানত না কারা টাকা দিয়েছে। বিজেপি এই নতুন নিয়মটা এনেছে বন্ড। আমরা সেই নিয়মটা মেনেছি।”
এদিকে কুণালের এই বক্তব্য শুনে সিপিএম সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, “সুপ্রিম কোর্ট বলেছে ইলেক্টোরাল বন্ড অসাংবিধানিক। তৃণমূল যদি কিছু নাই জানে তাহলে এই বেআইনি টাকা ফেরত দিয়ে দিক। এসব বাজে কথা বলে কি লাভ। নির্বাচন কমিশনের উচিত ইলেক্টোরাল বন্ডে যে দল যত টাকা পেয়েছে তার সবটা বাজপয়াপ্ত করা, তাহলে এই ভাষণ বন্ধ হয়ে যাবে।”
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “এখন উত্তর দিতে না পেরে তৃণমূল আবোলতাবোল বকছে। তৃণমূল ভবনে কজন যায়? সেখানে গিয়ে সবাই ওদের ড্রপ বক্সে টাকা দিয়ে গেছে? বাজে কথা বলার একটা শেষ থাকে।”
আমরা উনয়নের কথা এমনই এক ভোটের আগে শুনেছিলাম বীরভূমের মুকুটহীন সম্রাট অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। এবার আবার এমনই একটা ভোটের মুখে ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে কুণাল ঘোষের গলায় শোনা গেল সেই উন্নয়নের কথা। সত্যিই কী তৃণমূল জানত না কে বা কারা তাদের তহবিলে বন্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা দিয়েছে? রাজ্যের বামনেতারা বলছেন, যতই বন্ডের তথ্য বাইরে আসছে ততই তৃণমূল ভয়ে গুটিয়ে যাচ্ছে। তার ফলো কুণাল ঘোষের মতো নেতারা এসব আবোলতাবোল বলছেন।