মহানগর ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চা-সুন্দরীরা বুধবার স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালসা গিয়েছিলেন। সেখানে চা শ্রমীকরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন তারা জল পাচ্ছেন না, রাস্তা নেই, বাড়ি পাননি, এমন কি চা বাগানের কাজ পর্যন্ত চলে গেছে। গ্রামবাসীদের এই বক্তব্য শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি জারি হয়েছে। এখন কিছু করা যাবে না। ভোটের পর সব করে দেওয়া হবে। আমরাই করে দেব। কেন্দ্র কিছু করেনি।” এই সময় গ্রামবাসীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, ভোটের পর সব ভুলে যাবেন। এই কথা শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। তারপরই বলেন, “কেন্দ্র সব আটকে রেখেছে। ওরা কিছু করবে না। যা করার আমরাই করব।”
তারপর স্থানীয় প্রশাসনের এক দলীয় কর্তাকে ডেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সবটা দেখে দিতে। তখন ওই নেতা তথা স্থানীয় প্রশাসনের কর্তা বলেন, “ওরা বাড়ি পেয়েছে। এখন ভোট ঘোষণা হয়েছে। ভোটের পর সব হবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে যে খানকার মানুষ দাঁড়িয়ে অনেক কিছু না পাওয়ার অভিযোগ জানালেন, সেই চালসা চা বাগান এলাকা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু আনেক গর্ব মাঝেমাঝেই প্রকাশ করেন। বলেন, চাবাগান বাম আমলে কি ছিল আর তিনি এখন কত উন্নতি করে দিয়েছেন। বন্ধ চা শ্রমিকদের ভাতা, সন্তানদের লেখাপড়া সব রাজ্য করে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি চা-সুন্দরী প্রকল্প, চা বাগানে টি-ট্যুরিজম করে চা শ্রমীকদের আয় বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। বাস্তবে যে সেটা যে হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে সেই কথাই জানাল চালসার চা শ্রমীক ও গ্রামবাসীরা।
এদিকে চালসার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “চালসার গ্রামের মানুষ যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে পারেন তাহলে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এলে তো এবার তাঁদের তাড়া করবে। আসলে সাধারণ মানুষের ধৈর্যের সীমা অতিক্রান্ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু পথ হেঁটে ক্লান্ত, তাঁর এখন বিশ্রাম দরকার।”