মহানগর ডেস্ক: চরমে পৌঁছলো রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্ঘাত (Conflict Between Governor And Education Minister)। রাজ্যপালকে নিশানা করে শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ তিনি রাজ্যে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছেন। সেইসঙ্গে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের নামে পুতুল প্রশাসন চালাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী কড়া অভিযোগের পরেই রাজ্যপাল শনিবার রীতিমতো হুমকির সুরে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন মাঝরাতে অ্যাকশন হবে।
রাজ্যপাল বলেছিলেন, আজ মাঝরাতে কড়া আঘাতের জন্য অপেক্ষা করুন। এরপর দুটি মুখ বন্ধ খামে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। একটি রাজ্য সচিবালয়ে, আরেকটি কেন্দ্রকে। মুখবন্ধ খামে কী লেখা রয়েছে,তা জানা যায়নি। তবে সঙ্ঘাতের পটভূমি যে জোরদার হতে চলেছে, সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হতে চলেছে। রাজভবনে মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদির সঙ্গে বৈঠকের অল্প কিছুসময় পরেই ওই গোপন চিঠিতে সই করেন রাজ্যপাল। তবে দুজনের বৈঠক নিয়ে রাজ্য সরকার বা রাজভবন সূত্রে কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে রাজ্যপালের কড়া হুমকির পরেই শিক্ষামন্ত্রী নাম না করে তাঁকে আক্রমণ শানিয়ে লিখেছেন শহরে ভ্যাম্পায়ারের আবির্ভাব হয়েছে। সবাই সাবধান থাকুন। এক্সে (টুইটার) শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন মাঝরাত পর্যন্ত দেখুন। দেখুন কী হয়। সব সাবধান। শহরে নতুন এক ভ্যাম্পায়ারের উদয় হয়েছে। রাজ্যের নাগরিকরা নিজেরাই দেখুন।
উদগ্র কৌতূহল নিয়ে ভারতের পুরাণমতে রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষা করুন। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য সরকার ও রাজভবনের মধ্যে ঘনীভূত হয়ে উঠেছে সঙ্ঘাত। যে সঙ্ঘাত থেকে ভয়ঙ্কর ঝড়ের জন্য রীতিমতো তৈরি হয়ে গিয়েছে পটভূমি। ফলে মুখবন্ধ সিল করা খামে কী লেখা রয়েছে, তা নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে শিক্ষামহলে। ওই দুটি চিঠিতে কী এমন লিখেছেন রাজ্যপাল যে সেটি প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।