মহানগর ডেস্ক: জানেন, দাদা-বৌদির বিরিয়ানির এই দাদা ও বৌদি কে? কিভাবেই বা তাদের এই ব্যবসা থেকে রোজগার হয় ১০০ কোটি? এবার ফাঁস হয়ে গেল দাদা-বৌদির বিরিয়ানির আসল রহস্য! বিস্তারিত জানতে দেখে নিন এই প্রতিবেদনটি।
হাতে যখন দাদা বৌদির বিরিয়ানি, তখন আর লাভ সামলানোর উপায় থাকে। দিনে তিন কেজি চাল দিয়ে বিরিয়ানি হত একসময়, সেখানে গিয়ে পৌঁছল প্রায় ১৫০০ কেজির বিরিয়ানি। পাঁচতলা মল এখন পুরোটাই বিরিয়ানি। ব্যারাকপুরের দাদাবৌদি এখন ভারতবিখ্যাত। শুধু যে বিরিয়ানি এমনটা নয়, সেখানে ফিশ ফ্রাই থেকে কেবাব কী মেলে না? তারাই এবার উপস্থিত ছিলেন দাদাগিরির মঞ্চে। আসল দাদা এবং আসল বৌদির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি দাদাগিরি-এর মঞ্চে এসেছিলেন দাদা-বৌদি বিরিয়ানির স্রষ্টা। অর্থাৎ আসল দাদা ও আসল বৌদি। ধীরেন বাবু ও তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যার হাত ধরেই দাদা-বৌদি পৌঁছান মঞ্চে। আমরা দাদা বউদি বলে থাকি তাদেরকেই। এঁরাই আসল দাদা আর আসল বউদি, পরিচয় করিয়ে দেন সৌরভ। ধীরেবনবাবু জানালেন, ১৯৭৫ সালে শুরু। অনেক কষ্ট করেছেন প্রথমে। সৎ পথে চলেছেন। মানুষকে ভালোবেসেছেন। আর সেখান থেকেই ভালোবেসে পেয়েছেন দাদা-বউদি নাম।
ধীরেনবাবু জানালেন, দিনপ্রতি ১ লাখ টাকা আয় হয়েই যায়। আগে তিনি হিসেবনিকেষ রাখলেও, এখন সব দায়িত্ব দুই ছেলে সঞ্জীব আর রাজীবের। সঞ্জীবাবু মা-বাবাকে সঙ্গ দিতে এসেছিলেন দাদার মঞ্চে। তাঁর মুখ থেকেই সৌরভ জেনে নিলেন বিরিয়ানির এই ব্যাবসার হাল হাকিকত। সঞ্জীববাবু জানালেন, প্রতিদিন এক-একটা কাউন্টার থেকে ৪-৫ হাজার প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়। বছরে আয় হয় ১০০ কোটি মতো। রোজ ৮০০-১০০০ কিলো মাংস লাগে কিনতে। নিজেরা দেখে মাংস কেনেন সঞ্জীব ও রাজীব। সবসময় চেষ্টা করে যান তাঁরা যাতে বিরিয়ানির মান না খারাপ হয়। ৪০ বছর ধরে করে আসছেন বিরিয়ানি বানানোর কাজ। আর এভাবেই হয়েছেন তারা বিখ্যাত।