মহানগর ডেস্ক : দাড়িভিটকাণ্ডে বিপাকে রাজ্য। এনআইএ তদন্তের পাল্চা ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও হল না মুখ রক্ষা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিল, সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে রাজ্য সরকারকে। কেন নির্দেশ মানা হয়নি তা জানতে চেয়ে আগামী ১৫ মার্চ রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডিকে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ এর ১০ মে দাড়িভিটকাণ্ডের তদন্তভার সিআইডির থেকে এনআইএর হাতে অর্পণ করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। পাশাপাশি মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি এআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু বছর ঘুরতে চললেও নথি হস্তান্তর হয়নি। রাজ্য পুলিশের অসহযোগিতায় আদালতে যায় এনআইএ।সেই মামলার শুনানিতে গত ১৫ মার্চ রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চট্টোপাধ্যায় ও এডিজি সিআইডি রাজাশেখরণের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। বিচারপতি মান্থার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। আর তাতেই মুখ পোড়ালো রাজ্য সরকার। মামলার শুনানিতে বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ অযৌক্তিক মনে হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশের এতদিন পরও কেন ওই ঘটনার তদন্তের নথি এনআইকে হস্তান্তর করা হয়নি তা এজলাসে এসে জানাতে হবে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডিকে। আগামী ১৫ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন হাজিরা দিতে হবে ৩ জনকে।
উল্লেখ্য,২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটে বাংলা মাধ্যম স্কুলে উর্দু ভাষার শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে সরব হয় ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা। স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গাড়ি থেকে গুলি চালানো হয়। গুলিতে মৃত্যু হয় রাজেশ ও তাপস নামে ওই স্কুলেরই প্রাক্তন ২ ছাত্রের। তারপরই ওঠে এনআই এ তদন্তের দাবি।যদিও পুলিশের দাবি, ঘটনাস্থলে গুলি চললেও তা পুলিশ চালায়নি।