মহানগর ডেস্ক : জেলায় জেলায় বইছে লু। সকাল ১০ টার পর বাড়ি থেকে বেরনো যাচ্ছে না। চাঁদিফাটা রোদে প্রবল দহনজ্বালায় ভুগছে রাজ্যবাসী। বৃষ্টির জন্য চাতকের মতো অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত মিললো স্বস্তি। জেলা থেকে শহর, ভিজলো বৃষ্টিতে। কিন্তু ঝড় প্রাণ কেড়েছে ৪ জনের। রবিবার দুপুর পৌনে ১ টা নাগাদ ধর্মতলার মেট্রো শপিং মলে বাজ পড়ে পিলারের একাংশ ভেঙে পড়েছে। যদিও বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে প্রাণে বেঁচেছেন পথ চলতি মানুষজন।
অন্যদিকে, বাজ পড়ে দক্ষিণবঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। হুগলির তারকেশ্বর, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা, পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। হুগলির পুরশুড়ায় ঝড়ের জেরে ইলেকট্রিকের তার ছিঁড়ে মৃত্যু একজনের। স্থানীয় সূত্রে খবর, তারকেশ্বরের পিয়াসাড়া এবং গাইঘাটা থানার বর্ণবেড়িয়া এলাকায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত দু’জনই কৃষক ছিলেন। জানা গিয়েছে, পিয়াসাড়া থানায় মৃত যুবকের নাম লক্ষণ মালিক। বয়স ২৬ বছর। এদিন ভোরে মাঠে গিয়েছিলেন চাষের কাজ করতে। সেই সময় ঘন ঘন মেঘ ডাকতে শুরু করলে তিনি বাড়ি ফেরার জন্য পা বাড়ান। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময়ই বজ্রপাতে আহত হন তিনি। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতাল ভরতি করা হয়। পরে লক্ষণকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এদিকে গাইঘাটা থানার বর্ণবেড়িয়া এলাকায় মৃত ব্যক্তির নাম নেপাল হালদার। বয়স ৩৮ বছর। আজ ভোর নেপাল মাঠে যান কাজ করতে। স্ত্রী ময়না হালদার ফোন করে নেপালকে বাড়ি ফিরতে বলেন। পরে নেপালের সহকর্মীরা ময়নাকে ফোন করে জানান, বজ্রপাতে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর থেকে জলীয় বাষ্প এবং ওড়িশার উপরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। তার জেরেই রবিবাসরীয় বৃষ্টি! রবিবার সাতসকালেই ঘন কালো করে আসে আকাশ। দৃশ্যত যেন সাতসকালেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। মুহূর্তের মধ্যে বৃষ্টি। আর সঙ্গে হাওয়ার ঝোড়ো ব্যাটিং। উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি এলাকায় বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হয়।