মহানগর ডেস্কঃ ক্রিকেটর মাঠ ছেড়ে এবার আদালতে গেলেন এম এস ধোনি। ব্যবসায় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে কেস ঠুকলেন দুই বিজনেস পার্টনারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ১৫ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে তার সঙ্গে।
কিভাবে প্রতারণার শিকার হলেন ধোনি? মাঠে বরাবরই তিনি ঠান্ডা মাথার ক্রিকেটার হিসেবে পরিচিত। যার জন্য সকলেই তাঁকে বলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। নিজের বুদ্ধির চালে সর্বদাই বিপক্ষ দলকে কিস্তিমাত করতেন তিনি। কিন্তু কেউ কি কল্পনা করতে পেরেছিল যে এবার ২২ গজের পিচে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ক্রিকেটারকেই হতে হবে প্রতারণার শিকার? তবে বাস্তবে হলো তা। মাহি শিকার হলেন এক বিশাল অর্থের প্রতারণার। তবে তাঁকে প্রতারিত করার পিছনে হাত আর কারোর নয়, রয়েছে তাঁর পুরনো দিনের সতীর্থের।
ধোনির অভিযোগ, বিশ্বজুড়ে একটি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি খোলা হবে বলে ২০১৭ সালে ধোনির সঙ্গে নাকি একটি চুক্তি করেন মিহির দিবাকর ও সৌম্য বিশ্বাস। যদিও, দিবাকর চুক্তিতে বর্ণিত শর্তাবলী মেনে চলতে ব্যর্থ হন। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আরাকা স্পোর্টস ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিতে এবং লভ্যাংশ ভাগ করতে বাধ্য ছিল। যদিও তা মেনে চলা হয়নি। অনেক চেষ্টার পরেও, চুক্তিতে উল্লেখিত শর্তাবলী উপেক্ষা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে আরাকা স্পোর্টস-কে দেওয়া অথরিটি লেটার ২০২১ সালের ১৫ অগাস্ট প্রত্যাহার করে নেন ধোনি। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি আইনি নোটিস পাঠান। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। ধোনির প্রতিনিধিত্ব করা দয়ানন্দ সিং জানান, আরাকা স্পোর্টস তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যার ফলে তাদের ১৫ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তাই এবার আদালতে হাজির হয়েছেন মাহি। এখন এটাই দেখার যে এই মামলার জল কতদূর গড়ায়।