মহানগর ডেস্ক: হাওড়ার ডোমজুড়ের তরুণী অনুশ্রী হাজরার খুনের নেপথ্যে কি কারণ তাই নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। এরই মাঝে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনুশ্রী খুনের চার দিন পরে অভিযুক্ত অনুশ্রী হাজরার স্বামীকে জেরা করতেই বেরিয়ে এলো আসল কারণ। একাধিক সম্পর্ক ছিল অনুশ্রীর, দাবি অভিযুক্ত চন্দন মাঝির। এমনকি বিয়ের পরও একাধিক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী, একথা জানান তাঁর স্বামী।
অনুশ্রীর একাধিক সম্পর্কের কথা জেনেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে চন্দন। পুলিশি জেরার মুখে পরে একথা জানান তিনি। অনুশ্রী হাজরাকে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। জেরায় অনুশ্রী হাজরার স্বামী অভিযুক্ত চন্দন খুনের কথা স্বীকার করে নেন।
আরও পড়ুন: চাঁদের পর সূর্য সন্ধানে ইসরো, শ্রীহরিকোটা থেকে সফল উৎক্ষেপণ আদিত্য এল-১ এর
প্রসঙ্গত, ডোমজুড়ের রাঘবপুরের ঝালুয়ারবেড়ের রাস্তা থেকে রবিবার রাতে অনুশ্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। চন্দনের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ করে তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন। এর পরেই অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, চন্দন জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন। তিনিই জানিয়েছেন যে, অনুশ্রীকে গুলি করে খুন করার পর কাটলিয়ার একটি পুকুরে সেভেন এমএম পিস্তলটি ফেলে দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার কলকাতার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরি নামিয়ে খুনে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে প্রেম করেই বিয়ে হয় অনুশ্রী ও চন্দনের। বিয়ের ১৪ মাসের মাথায় সেই বিয়ে ভেঙে বাপেরবাড়ি আসেন অনুশ্রী। অনুশ্রীকে নাচতে বাধা দিয়ে নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ করা হয় তাঁর বাড়ির তরফে। গত রবিবার নিজের স্ত্রী অনুশ্রী হাজরাকে গুলি করে খুন করে স্বামী চন্দন মাঝি।