মহানগর ডেস্ক : রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই হেফাজতে সন্দেশখালির একদা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। এবার জমি দখলের মামলায় শেখ শাহজাহানকে জেরা করতে ইডি আধিকারিকরা বসিরহাট জেল হেফাজতে পৌঁছে গেল ইডি। ইডির আইনজীবী জানান, ১৫/১৬ টি জমি দখলের অভিযোগে বসিরহাট আদালতে ইডি শেখ শাহজাহানকে জেরা করার জন্য তারা অনুমতি চায়, আদালত ইডিকে অনুমতি দিতেই শনিবার বসিরহাট আদালতে পৌঁছে যায় ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৫ জানুয়ারি সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছলে তাঁরা শাহজাহান বাহিনীর হাতে আক্রান্ত এবং রক্তাক্ত হন। এই ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় শেখ শাহজাহানকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করতে সষম হয়। তারপর সিবিআই হেফাজতে নেয়া হয় শেখ শাহজাহানকে। এবার ইডির জেরার মুখে পড়ল শেখ শাহজাহান।
শনিবার বসিরহাট জেলে ইডি আধিকারিকরা ল্যাপটপ, প্রিন্টার নিয়ে সন্দেশখালির এক সময়ের বাঘকে জেরা করতে পৌঁছে যায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জোড়া চাপে ভোটের মুখে শেখ শাহজাহানতো বটেই তার সঙ্গে অনেকটাই নাজেহাল তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাট আদালত নির্দেশ দিয়েছে, জেলে যে কোনও সময় ইডি শেখ শাহজাহানকে জেরা করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই শাহজাহান শেখের ১২.৭৮ কোটি টাকার ফ্ল্যাট, বাড়ি, মাছের ভেড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। ইডি সূ্ত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, যে শাহজাহানের সম্পত্তির পরিমাণ শুধু এটুকুই নয়। ইডির নজরে রয়েছে শাহজাহানেরই আরও অন্তত ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি। এই সমস্ত সম্পত্তির নেপথ্যে কি শুধুই রেশন দুর্নীতি, নাকি শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও যে সব দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসছে, তারও ভূমিকা রয়েছে এর নেপথ্যে? শুক্রবার এ ব্যাপারে শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে বসিরহাট আদালতে আবেদন করেছে ইডি এবং আদালতের অনুমতি পায় ইডি। শনিবার আদালতে ইডি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের ৩২ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সম্পত্তির হদিস পেয়েছে তারা।
শাহজাহান এখন জেলে। তার আগে তাকে সিবিআই হেফাজতে নিয়েছিল। তবে সেটি ছিল ইডির উপর হামলার মামলা। কিন্তু যে তদন্ত করতে গিয়ে শাহজাহানের গ্রামে হামলার মুখে পড়েছিলেন ইডির গোয়েন্দারা, সেই তদন্তে এখনও শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বাকি। এবার সেই ঘটনার তদন্ত করতেই ইডির জেরা শুরু হল বলে মনে করা হচ্ছে।