মহানগর ডেস্কঃ অল্প বয়সে বিয়ে করেছিলেন সোমাকে। পরিবারের পছন্দ করা মেয়েটির সাথে সম্বন্ধ ঠিক হওয়ার পর প্রেম করেছিলেন দুজনে। ৩২টি বসন্ত পার করেছেন রাশিদ-সোমা। ২২শে ডিসেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন রাশিদ আলি খান। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে সোমা খান নিয়ে যায় সংগীতজ্ঞকে। কিন্ত এই বিষয়টি কাউকে জানতে দেননি স্ত্রী। রাশিদের জীবনের অনেকটা অংশ জুড়ে ছিলেন সোমা খান।
২০২৩ এর ২ ডিসেম্বর ছিল বিবাহিত জীবনের ৩২তম উদযাপন অনুষ্ঠান। মাঝে কয়েকটা দিন। শুরু হল নতুন বছর। ৯ জানুয়ারি বিকেল তিনটে ৪৫ মিনিটে সব শেষ। ঈশ্বরলোকে পারি দেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের স্তম্ভ রাশিদ আলি খান। এক মাস সাত দিনের মাথায় শোকের মেঘ নেমে এল খান পরিবারে। সোমাকে একা করে চলে গেলেন রাশিদ খান। জীবনের শেষ পর্যন্ত স্বামীকে আগলে রেখেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না সোমা। কন্যা পুত্রকে মা এর দায়িত্বে দিয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের সমাপতন।
মিউজিকাল হেরিটেজে অসামান্য অবদান ছিল রাশিদ আলি খান ও সোমা খানের। সংগীত ছিল দুজনের ধ্যান জ্ঞান। স্বামীর উত্থানের সাক্ষী ছিলেন তিনি। থাকবেনই বা কেন! নয় নয় করে একসঙ্গে কাটিয়েছেন ৩২টি বছর। সোমাকে যখন বিয়ে করেছিলেন রাশিদ, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। অল্প বয়সে সমন্ধ করে প্রেমের বিয়েতে সোমা জুড়ে ছিলেন সবকিছুতে। রাশিদ খানের ব্যক্তিগত থেকে কর্মজীবনের সাথে ওতপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে সোমা খান। অল্প বয়সে বিয়ে করার সুবাদে অনেক মুহূর্ত তৈরি করেছেন খান পরিবার।
হয়তো এই কারনে অনেকেই তোপ দেগেছেন কেন ওইদিন হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি কাউকে জানাননি রাশিদ স্ত্রী? এখন এসব প্রশ্ন অহেতুক। কারণ মানুষটা আর নেই। জীবনের বাকি রাস্তাটা রাশিদের স্মৃতিটুকু আঁকড়ে নিয়ে পুত্র কন্যার হাত ধরে হাঁটতে হবে তাকে। অন্তরের গহিনে থাকা সুর টুকুই সম্বল এখন তার কাছে। মনের ক্যানভাসে থেকে গেল দাম্পত্যের টক ঝাল মিষ্টির স্বাদটা। জীবন মঞ্চ থেকে চির বিদায় নেওয়া ওস্তাদ রাশিদ খানের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাজনীতি থেকে সুর জগতের সকলে।https://fb.watch/ptZxZR2J9v/