বিধাননগরের এক প্রভাশালী রাজনৈতিক নেতার ইন্ধনে ভুয়ো অভিযোগে অভিযুক্ত এক ব্যবসায়ী ও তার পরিবার । ঘটনায় অভিযুক্ত সেখ জিন্নার আলী জানান, গত ০৩/০৬/২০২২৫ এ বিধান নগর দক্ষিন থানার এক আধিকারিক তরুন কুমার বিশ্বাস ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তার ফোন নাম্বার চেয়ে নেন এবং পরে ফোন করে জানান তার বিরুদ্ধে বিধাননগর দক্ষিন থানায় একটি FIR করা হয়েছে। এর অব্যবহিত পরে যখন বিধান নগর থানার IC কে ফোন করে ঘটনার সত্যতা সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হয় তখন IC জানান এই ধরনের কোনো অভিযোগের খবর তার কাছে নেই। এর পর সেখ জিন্নার আলী বুঝতে পারেন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে এক পুলিশি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন হল অভিযোগকারী তপন কুমার পুই বাকুড়ার বাসিন্দা, অভিযুক্তর ঠিকানা মাদুরদহ কিন্তু অভিযোগ দায়ের করা হল বিধানগর দক্ষিন থানায় কেন? সেখ জিন্নার আলীর বক্তব্য হল প্রথমত তিনি কোনোদিনই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি বা সিবিআইয়ের আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দেননি। দ্বিতীয়ত তার বাবা সেখ নাসের আলী (যাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে) একজন জন্মগত পোলিও রোগী এবং ২০২২ সাল থেকে সম্পুর্ণ বিছানায় শয্যাশায়ী, শেখ নাসের আলীর প্রশ্ন, এহেন লোক কি করে এই ধরনের প্রতরনামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন ?
তৃতীয়ত, প্রতারণার কাজে অভিযুক্তরা যে গাড়িটির ব্যাবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে সেই গাড়িটির রেজিষ্ট্রেশন হয় ০৩/০৬/২০২৪ তারিখে অথচ ঘটনা ঘটার সময় উল্লেখিত করা হয়েছে ২০২৩ সাল। এই দুটি ঘটনা প্রমাণ করে সেখ জিন্নার ও তার বাবা সেখ নাসের আলী কে ষড়যন্ত্র করেই অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
অভিযুক্ত সেখ জিন্নার আলী ‘মহানগর ২৪x৭’ কে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে কোনোদিন কোনো অবস্থাতেই তিনি নিজেকে ED আধিকারিক বলে পরিচয় দেননি ও ১.৩০ কোটি টাকা জুলুমবাজি করে নেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা। সেখ জিন্নার আলী জানান যে তপন কুমার পুই এর সাথে একটি মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে গলশি থানার অন্তর্গত একটি বালি খাদান পুননির্মানের কাজে ৮০ লক্ষ টাকার চুক্তিতে নিযুক্ত হন। এই টাকার মধ্যে চারটি কিস্তিতে মোট ২০লক্ষ টাকা তিনি পেয়েছেন বলে সেখ জিন্নার আলী জানান এর পর ২৪.১০.২০২৪ তারিখে তপন কুমার পুই আইনজীবী মারফৎ চিঠি দিয়ে ওই ২০ লক্ষ টাকা ফেরত চান অথচ কাজ তখন পুরদমে চলছিল।এরপর সেখ জিন্নার আলীও আইনজীবী মারফৎ চিঠি দিয়ে জানান যে ২০ লক্ষ টাকার অতিরিক্ত ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৮০ টাকার বাড়তি কাজ হয়ে গিয়েছে।

সেখ জিন্নার আলী জানান যে যাবতীয় বিতর্কের অভিযোগ ও তার উত্তর উভয়পক্ষই আইনজীবী মারফৎ করেছে, অতএব এর মধ্যে জুলুমবাজীর কোনো অবকাশ নেই।
কিন্তু মূল প্রশ্ন হল বিধাননগর দক্ষিন থানায় অভিযোগ কেন জানানো হল ? সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে কোনো এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের হস্তক্ষেপে এই টাকার জুলুমবাজি এবং ED পরিচয়ের ভুয়ো কাহিনী নির্মাণ করা হয়েছে। এটাও সন্দেহ করা হচ্ছে যে তপন কুমার পুই বাকি কাজের টাকা যাতে না দিতে হয় তার জন্যই কোনো এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে হাত মিলিয়ে গোটা ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষিত নির্মাণ করেছেন। সেখ জিন্নার আলী এবং তার পরিবার ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্তের দাবি করে ইতিমধ্যেই বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট সহ সংশ্লিষ্ট উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারীকদের মুল ঘটনা সম্পর্কে অবগত করেছেন।