মহানগর ডেস্ক: শিক্ষক-দুর্নীতি পুরো মুড়ে ফেলেছে গোটা রাজ্যকে। একে একে পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাজ্য রাজনীতির একাধিক নেতা-মন্ত্রী একখান জেলের ভেতর। শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, একাধিক বিভাগের দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কয়লা-গরু পাচার কাণ্ডে নাম উঠেছে অনুব্রত মণ্ডলের।
এছাড়াও ইডির তদন্তের মধ্যে পড়েছে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, ফিরহাদ হাকিম, নুসরত জাহান-সহ শাসকদলের একাধিক নেতারা। চাকরির দেওয়ার নাম করে কয়েক শো কোটি টাকা নিয়ে নেতারা নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল এতদিন। ইডির তল্লাশিতে শাসকদলের নেতাদের অফিস এবং বাড়ি থেকে সেই টাকা উদ্ধার হয়েছে। এদিকে চাকরির জন্যে প্রতিদিন আন্দোলন চলছে চাকরি প্রার্থীদের। যাদের মধ্যে কেউ কেউ মাঝ বয়সে পরিণত হয়েছে। এবার রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৪ জানুয়ারি ঠিক সকাল সাড়ে ১০টার সময় তাঁকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে হাজির থাকতে বলা হয়েছে৷ এবং এসএসসির পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ সিরাজউদ্দিনকেও বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যিনি বাঁকুড়ার সালডিহা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। সূত্র অনুযায়ী, সৌমিত্র সরকারের অপরাধ, ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে বেআইনিভাবে তিনি শিক্ষক নিয়োগ করেছেন।
সেই মামলাতেই তাঁকে তলব করা হয়েছে৷ এদিকে শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁর স্ত্রী যসমিনা খাতুন বাঁকুড়ার ভত্রাশ্রী দূর্গানিকেতন হাইস্কুলে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাঁর স্বামীর জন্যে। যিনি ২০১২ সালের এসএসসি প্যানেলের চাকরিপ্রার্থী ছিলেন৷ ২০১৫ সালে ওই প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তাঁদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ২০১৯ সালে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ হন সিরাজউদ্দিন স্ত্রী।