মহানগর ডেস্ক: “বিজেপিকে এবার বাংলায় ৩৫টি আসন দিন, বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেব”, মঙ্গলবার করণদিঘির জনসভা থেকে এই মন্তব্য করলেন অমিত শাহ। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকে পালা করে বঙ্গে আসছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ। তৃতীয় দফা ভোটের প্রচারে আবারও মঙ্গলবার বঙ্গে এলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার মালদা ও উত্তর দিনাজপুরে জোড়া কর্মসূচি করলেন অমিত শাহ। প্রথমে মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী খগেন মুর্মু ও মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর সমর্থনে ইংরেজবাজারে রোড শো করেন অমিত শা। এরপর তিনি সভা করেন উত্তর দিনাজপুরে। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে করণদিঘির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লাগাতার আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠিক একদিন আগেই করণদিঘিতে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহ এই জনসভা থেকে তৃণমূলকে নিশানা করে অমিত শাহ বলেন, বাংলায় ঘুষের বদলে চাকরি হয়েছে, ১০/১৫ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ জেলে, মমতা প্রথমে তাঁকে সাসপেন্ড করেননি।
সামনেই লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা। ভোটের প্রচারে এসে ফের একবার জয়ের টার্গেটের কথা শোনা গেল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, বঙ্গে এবার বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ৪২টি সিটের মধ্যে তিরিশটির বেশি আসন জয়। কখনও শাহ বললেন ৩০ টির বেশি আসনে জয় এনে দিন বিজেপিকে। কখনও বললেন, জয় চাই ৩০ থেকে ৩৫ আসনে। এর আগে বঙ্গে এসে বিয়াল্লিশে ৪২টি আসনেই জয়ের টার্গেটের দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার অমিত শাহের মুখে শোনা গেল, কখনও ৩০ , কখনও ৩৫টি আসনের কথা। আর বলেন, ৩৫টি আসন বাংলায় বিজেপিকে দিন, বাংলায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেবো।
কাটমানি থেকে নিয়োগ দুর্নীতি, অনুপ্রবেশ সমস্যা থেকে সিএএ, নানা বিষয়ে একেবারে অল-আউট অ্যাটাক করলেন বাংলার তৃণমূল সরকারকে। কেন রাজ্যের মানুষ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধে ভোগ করতে পারছে না, তুললেন প্রশ্ন। মমতাকে বিঁধলেন একের পর এক ইস্যু নিয়ে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘মোদিজি সারা দেশেরগরিব মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ১২ কোটির বেশি শৌচালয় বানানো হয়েছে। ৪ কোটির বেশি মানুষ নিজের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় প্রকল্প এখানে আসতে দেন না’। অমিত শাহ বলেন, “এই যে কাটমানির দুর্নীতি চলছে বিজেপি এলে বন্ধ হয়ে যাবে।”
এছাড়া সিএএ ইস্যুতে আক্রমণ শানাতে গিয়ে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে চাইছেন না। হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছেন না। আমি কথা দিচ্ছি সব হিন্দু শরণার্থীরা নাগরিকত্ব পাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে’
সন্দেশখালি ইস্যু টেনে এনে শাহের দাবি, “এরাজ্যের মা-বোনরা বিজেপির হাতে সুরক্ষিত থাকবেন।” দুর্নীতি ইস্যুতেও ফের একবার শাহের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গ তুলে অমিত শাহ বললেন, “তৃণমূলের এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে ৫১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তৃণমূলের যে নেতারা দশ বছর আগে ঝুপড়ি থাকত, সাইকেলে ঘুরত, তাদের এখন চারতলা বাড়ি।”