মহানগর ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি বা WBBPE Primary TET Scam নিয়ে যে মামলা চলছে, তাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে একের পর এক।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের। কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা হয়েছে। বিচারপতি কখনো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সিবিআই এর তদন্তে, আবার কখনো গুরুত্বপূর্ণ কোনও তদন্তের ভারও দেওয়া হয়েছে CBI কেই।
বহু টাকার লেনদেন হয়েছে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে, OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে,টাকা পাচার হয়েছে,আদালত এই সমস্ত অভিযোগে সম্প্রতি জানিয়েছে-এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত অনেকেই অভিযুক্ত, যারা বাইরে রয়েছে, সিবিআই তাদের ক্ষেত্রে কি ভূমিকা গ্রহণ করেছে?আদালত একের পর এক প্রশ্ন তুলেছে CBI- এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে। এইসবের মধ্যেই উঠে আসলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাইকোর্টের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, রাজ্যে প্রায় ৪৩,ooo শিক্ষকের ঘাটতি।
শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ শিক্ষক সংগঠনের তরফেও জানানো হয়েছে যে, মোট ৪৩,০০০ শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে রাজ্যে। সুপ্রিম কোর্ট ২০২১ সালের ২৮শে ডিসেম্বর নির্দেশ দিয়েছিল,একজন করে প্রতিটি স্কুলে স্থায়ী বিশেষ শিক্ষক নিয়োগ করার।এর পাশাপাশি, আদালতে রাজ্য জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রথম ধাপে সরাসরি ভাবে ৫২৪৮ জনকে বিশেষ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হবে।সঙ্গে এটাও বলা হয়েছিল, সমগ্র শিক্ষা মিশন প্রকল্পের অধীনে ১১০১ জনকে নিয়োগ করা হবে বিশেষ শিক্ষক হিসেবে।
তবে এই বঞ্চনা কেন? সে সম্পর্কে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক নন্দরাম মন্ডল এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “দশ হাজারেরও বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক আছেন রাজ্যে। তবে নিয়োগ করা হয়নি বলেই তারা বঞ্চিত হয়েছেন।”তবে এই চাঞ্চল্যকর খবরের অর্থ হল এই মুহূর্তে রাজ্যে নিয়োগ হবে ৪৩,০০০০ জন বিশেষ শিক্ষক।উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ হওয়া ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছিলেন।