মহানগর ডেস্ক: রাজভবনের তরফে দুর্গাপুজোতেও এবার নবান্নকে টক্কর। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ‘দুর্গাভারত সম্মান’দেবেন পুজো কমিটিগুলিকে। একথাই জানানো হয়েছে বুধবার রাজভবনের তরফে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই মনোনয়নও চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজভবনের তরফে। পাশাপাশি, বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা,আচমকা কেন রাজভবনের তরফে ‘দুর্গাভারত সম্মান’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা নিয়ে।
মোট ১১টি বিভাগে রাজভবনের বিবৃতি অনুযায়ী পুরস্কৃত করা হবে। দেখে নিন কোন কোন বিভাগ রয়েছে…
১. যেকোনও সমাজসেবামূলক কাজ।
আইন ও সমাজের প্রতি অবদান।
২.শিল্পকলা: সংগীত, আঁকা, স্থাপত্য, ছবি, সিনেমা, থিয়েটার, আদিবাসী শিল্পকলা।
৩.সাংবাদিকতা, শিক্ষকতা, প্রকাশনা।সাহিত্য, কবিতা, শিক্ষার প্রচার, সাক্ষরতার প্রচার প্রশাসনিক কর্মীদের দক্ষতা,খেলাধূলা।
৪.চিকিৎসা: গবেষণা, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি, সিদ্ধা, অ্যালোপাথি, নেচারোপ্যাথি।
৫.বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং: পরমাণু বিজ্ঞান, মহাকাশ প্রকৌশল।
৬.তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণা
বাণিজ্য এবং শিল্প: ব্যাঙ্ক, অর্থনীতি, ম্যানেজমেন্ট, পর্যটনের প্রচার, ব্যবসা।
৭.অন্যান্য: ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারক, মানবাধিকার রক্ষা, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে উদ্যোগী।
‘দুর্গাভারত সম্মান’কে তিনটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১.‘দুর্গাভারত সম্মান’ প্রাপক পাবেন ৫০ হাজার টাকা।
২.‘দুর্গাভারত পরম সম্মান’ প্রাপক পুরস্কার পাবে ১ লক্ষ টাকা।
৩.‘দুর্গাভারত পুরস্কার’ প্রাপককে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে আগামী শনিবারের মধ্যে।আবেদন পাঠাতে হবে: [email protected] এই ই-মেল আইডিতেই। উল্লেখ্য, বাংলার দুর্গাপুজো UNESCO’র স্বীকৃতি পেয়েছে । তবে তার আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো উদ্যোক্তাদের ‘বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান’ দেন। আয়োজন করেন দুর্গাপুজো কার্নিভালের । তবে এমন উদ্যোগ আগে কখনই নেওয়া হয়নি রাজভবনের তরফে।ওয়াকিবহাল মহল চলতি বছরের এই উদ্যোগকে নবান্নকে টক্কর দেওয়ার লক্ষ্য বলেই মনে করছে।