মহানগর ডেস্ক: ফের হিংসা,তাণ্ডবের কবলে রাজ্য। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের পর সিপিএম সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুরে অগ্নিগর্ভ এলাকা। এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন রাজ্যে হিংসা, অশান্তি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজভবনে একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেন, শুধু আইনি ব্যবস্থা নয়, সামাজিকভাবেও এর মোকাবিলা করা হবে। রাজ্যের কোনও কোনও জায়গায় হুমকি,খুন,লুঠ ও হিংসা বন্ধ হওয়া উচিত।
অন্যদিকে পুলিশের উপস্থিতিতে সিপিএম সমর্থকরা ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। বহু মহিলা ও শিশু সিপিএমের কার্যালয়ে রাত কাটান। প্রবীণ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন তাঁদের গৃহহীন সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা দলেরই দায়িত্ব। প্রবীণ নেতা বলেন বহু মহিলা ও শিশু তাঁদের পার্টি অফিসে আশ্রয় নিয়েছেন। সবাই হিংসার ঘটনা প্রত্যক্ষ করছেন। মঙ্গলবার ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন সুজন। যদিও তাঁকে সেখানে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। তারা জানায় যাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদেরই ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। শান্তি ফেরাতে বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয় এক মহিলা অভিযোগ করেন পুরুষ পুলিশ তাঁকে হেনস্থা করেছে। তাঁর অভিযোগ পুলিশ তাদের জানালা ভেঙে ঢুকেছিল। শিশুদের জন্যও কোনও খাবারের ব্যবস্থা করেনি। পুলিশ মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। নিজেদের বাড়িতেও ঢুকতে দেয়নি।
এক মহিলা রীতিমতো কাঁদতে কাঁদতে জানান। প্রসঙ্গত, নভেম্বরের ১৩ তারিখে ভোরবেলায় নিজের বাড়িতে একদল অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির গুলিতে নিহত হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর। তারপরই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগর। খুনে সিপিএম জড়িত, এই অভিযোগ জানিয়ে তাণ্ডব শুরু করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এক হত্যাকারীকে ধরে ফেলে তারা। তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।