Home Bengal ডিভোর্সের সংখ্যা বেশি হলেও এখানে নারী-পুরুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন! সুখ পেতে ঘুরে আসতে পারেন এই দেশে

ডিভোর্সের সংখ্যা বেশি হলেও এখানে নারী-পুরুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন! সুখ পেতে ঘুরে আসতে পারেন এই দেশে

by Sushama
40 views

মহানগর ডেস্ক: সবচেয়ে সুখী রাজ্যের নাম কী? ভারতের সবথেকে সুখী রাজ্যে কোনটি? দিল্লি, বাংলা, উত্তরপ্রদেশ? ঠিক ভাবছেন? না একদম ভুল। কোনটিই নয়। তবে আমাদের পাশেই রয়েছে। একটু খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে। এবং যাওয়া কিন্তু যাবে। যাবেন নাকি? দেশের সবচেয়ে সুখী রাজ্যে! চলুন আজ তবে ঘুরে আসি।

 সুখের প্রকৃত সংজ্ঞা বলতে পারেন? সুখ বিষয়টি একেবারেই কি আপেক্ষিক নয়? মনে হয় সুখ নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা করা যায় না। বেশিরভাগ জন হয়তো তাই ভাবেন ও মানেন। তবে মানুষের সুখী হওয়ার বিষয়ে বেশ কিছু মাপকাঠি রয়েছে। যেগুলোকে মানুষ নির্দিষ্ট করেছে। বলতে গেলে সুখি হতে প্রধান প্রয়োজনের তালিকা। ◼️আর্থিক স্বচ্ছলতা

◼️ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভ সংযোগ

◼️ চাকরির নিশ্চয়তা অথবা উপার্জনের উপযুক্ত রাস্তা

◼️ কর্মসংস্থানের সুযোগ এগুলি থাকলেই একজন মানুষ নিজেকে সুখী মনে করতে পারেন।

সম্প্রতি গবেষকরা একটি সমীক্ষা চালিয়েছেন। আর তাতেই উঠে এসেছে সবচেয়ে সুখী রাজ্যের নাম। ভারতের সবথেকে সুখী রাজ্যে আসলে কোনটি? সমীক্ষা অনুসারে দেখা গেছে ভারতের সবথেকে সুখী রাজ্য হলো উত্তর পূর্ব ভারতের মিজোরাম। সবচেয়ে সুখী রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর একটা প্রশ্ন আসে। আর সেটা হল এই সুখী দেশ হওয়ার জন্য কি কি মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছিল এই সমীক্ষায়? কিভাবেই বা মিজোরাম প্রথম হলেন? জেনে নিন বিস্তারিত।

১) মিজোরাম ভারতের অন্তর্ভুক্ত দ্বিতীয় রাজ্য যেখানে ১০০ শতাংশ মানুষই স্বাক্ষর৷ এটি মিজোরামকে সবথেকে সুখী রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

২) রিপোর্ট অনুসারে জানা যাচ্ছে মিজোরামের মানুষ কোনো কাজকে ছোট ভাবে না। এই রাজ্যের ১৬-১৭ বছরের বাচ্চারাও নিজের জন্য কাজ খুঁজে স্বাবলম্বী হয়ে রোজগার করতে থাকে৷

৩) মিজান আমি ডিভোর্সের সংখ্যা বেশি হলেও এখানে ছেলে মেয়ে সবাই অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন হওয়ার কারণে অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেও সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। আর সকলে সুখে থাকেন বলেই এটি ভারতের সবথেকে সুখী রাজ্য

৪) মিজোরামের সব থেকে সুখী রাজ্য হওয়ার পেছনে রয়েছে তার সামাজিক পরিকাঠামো। যা সেখানকার শিশুদের আনন্দের জন্যও দায়ী৷ মিজোরামে জাতিভেদ প্রথা নেই৷ লিঙ্গভেদ প্রথাও নেই। সেখানে সব শিশু সমান অধিকার ও শিক্ষা পায়।

৫) সমীক্ষা অনুসারে বলা হয়েছে মিজোরামের খুশির সূচক হলো ছটি বিষয়। সেগুলি হলো পারিবারিক সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্রে আনন্দ, সামাজিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্য, সমাজসেবা, ধর্ম এবং মিজোরামের মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য৷

You may also like