মহানগর ডেস্ক : আগামী ১৯ এপ্রিল ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হতে চলেছে। তার আগে মানবিক মুখ রাজ্যের। যে সময়ে নির্বাচনের দিন স্থির হয়েছে, তা গ্রীষ্মকাল। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিতে বইতে শুরু করেছে লু। বাংলাও পুড়ছে দহনজ্বালায়। তাই ভোটকর্মী ও নিরাপত্তারক্ষীদের কথা ভেবে গুরুত্বপূর্ণ এখ পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। ভোটগ্রহণ–পর্ব চলাকালীন কোনও ভোটকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতেই এই বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মচারী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের জন্য এই ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।১৯ এপ্রিল সাত দফা নির্বাচনের প্রথম দফা। প্রচন্ড রোদে যাতে কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যার নোডাল অফিসার হিসেবে রাখা হয়েছে রাজ্য পুলিশের আইজি (অর্গানাইজেশন) হৃষিকেশ মিনাকে বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়টি সমস্ত জেলা পুলিশকে জানানো হয়েছে। এই বিমানে আধুনিক হাসপাতালের মতো আইসিইউ সুবিধা থাকছে।
জানা যাচ্ছে, ১৯ এপ্রিল বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছবে। পরে প্রয়োজনমতো শিলিগুড়ি এবং খড়্গপুরেও উড়ে যেতে পারে। হরিয়ানার একটি সংস্থার থেকে ৪৮ দিনের জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়ায় নেওয়া হচ্ছে। সম্ভাব্য খরচ ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা। এই বিমানের দুটি ইঞ্জিন। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা থাকবেন। তীব্র দাবদাহে ভোটকর্মী বা নিরাপত্তাকর্মীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তখন এই বিমান গিয়ে তাঁকে তুলে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেবে। আবার এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৌঁছে দিতে পারে। লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সাহায্য করতে পারবে।
উল্লেখ্য, সমস্ত কর্মচারী এবং পেনশনভোগীর জন্য ২০১৪ সালে তৈরি হয়েছে রাজ্যের ক্যাশলেস মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট স্কিম।তার আওতায় এই সুবিধা দেওয়া হবে রাজ্যে নির্বাচনের ডিউটিতে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও। লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকারই।