মহানগর ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়া মহাসংঘ নিয়ে বড়সড় নির্দেশ আদালতের। আয়কর নথ জমা দেওয়া দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। ৩ দিনের মধ্য়ে আয়কর দফতরকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ। যে প্যান কার্ড ইস্যু হয়েছে তার সঙ্গে কোন মোবাইল নম্বর যুক্ত রয়েছে,কার নামে ওই মোবাইল সিম রয়েছে, তাও জানাতে হবে আয়কর দফতরকে। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, মতুয়া মহাসংঘের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবৈধ লেনদেন নিয়ে সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের। শান্তনু ঠাকুরের আইনজীবী জানান,’মতুয়া মহাসংঘ তাঁকে দায়িত্ব দেয়নি। বড়মা বীণাপানি ঠাকুর মমতাবালাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে দাবি। হাইকোর্টে এই মামলা চলার মধ্যেই আয়কর নথি তদন্তের জন্য পুলিশকে মমতাবালার তরফে বলা হয়েছে। সেখানে এই মামলার ব্যাপারটা গোপন করা হয়েছে।’ এদিকে, মমতাবালার আইনজীবীকে আদালতের হুঁশিয়ারি, কী ভাবে এই প্যান কার্ড আর মোবাইল যোগ হয়েছে, সেই নিয়ে পুলিশকে তদন্ত করতে দিতে পারি। সন্তুষ্ট না হলে অন্য কোনও এজেন্সিকে তদন্ত দেব। আপনার আবেদনের মধ্যেই অনেক প্রশ্ন থেকে গিয়েছে। বিচারপতি জানান, ‘কার প্যান কার্ডকে ব্যবহার করছে, এটাই তো স্পষ্ট নয়।’ তৃণমূল সাংসদ স্পষ্ট করে বলেন যে ২৩ মার্চ মহাসংঘের ট্রাস্টের প্যান কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে ২৪ মার্চ থানায় অভিযোগ জানান হয়েছে।
উল্লেখ্য, ঠাকুরনগরে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ নামে থাকা দু’টি সংগঠনের মধ্যে একটির সংধিপতি হলেন মমতাবালা ঠাকুর।আর অপরটির সংঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর।মমতাবালা নিজের সংগঠনকে আসল বলে দাবি করে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মমতাবালা ঠাকুরের অভিযোগ, শান্তনু ঠাকুর অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের নামে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে বিপুল টাকা জমা করছেন। মমতাবালার আরও অভিযোগ, মানুষকে ভুল বুঝিয়ে, কার্ড তৈরির নামে বিপুল টাকাও সংগ্রহ করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই অ্যাকাউন্ট সিল করে দেয় পুলিশ।