মহানগর ডেস্কঃ পরকীয়ার জেরে এক ব্যক্তি নিজেই তাঁর স্ত্রী কে খুন করেন। বেশকিছু কাজ ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা মাফিক ভাবে গুছিয়ে, তারপর পুলিশ কে ফোন করে ঘটনা স্থলে ডাকেন। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেখে, মৃতা স্ত্রীর নিথর দেহের পাশে খুনী স্বামী বসে রয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার সকালে। মৃতা মহিলার নাম সমাপ্তি ( কৃষ্ণা) দাস, বয়স ২৮ বছর। অভিযুক্ত স্বামীর নাম কার্তিক দাস, বয়স ৪১বছর। স্বামি পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী। গত এক বছর ধরে বেহালার রাম মোহন রায় রোডের এই বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন তাঁরা। দম্পতির দুই বাচ্চা রয়েছে ১২ বছরের এক কন্যা ও ৫ বছরের একটি পুত্র সন্তান । পরকীয়া সম্পর্কের জেরে রোজ ঝগড়া হত দম্পতির মধ্যে। ঝামেলার সুরাহা করতে স্ত্রী কে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন স্বামী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দম্পতির সাংসারে নিত্যদিন অশান্তি চলত, তা শুনতে পাওয়া যেত। প্রতিবেশি দের অভিযোগ, মৃতা মহিলার অন্য এক পুরুষের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকতো । কিন্তু সেই অশান্তির জেরে একজনের প্রাণ চলে যাবে তা কেউ বুঝতে পারেনি।
অপরদিকে, মৃতা মহিলার জেঠীমার দাবি, ” বিয়ের পর থেকেই অশান্তি চলছিল দুজনের মধ্যে। এমনকি কৃষ্ণাকে বিক্রিও করে দিতে চেয়েছিল কার্তিক। আমরাই আটকে ছিলাম।”
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বুধবার রাত ১টা নাগাদ ঝামেলা চরম পর্যায়ে গিয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে খুন করে। পুলিশের ধারণা দুই সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন ওই ব্যক্তি। তারপর ঠান্ডা মাথায় বসে পরিকল্পনা করেন বাচ্চাদের ঘটনা স্থল থেকে সরানোর। তারপর বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় দুই সন্তান কে রেখে আসেন, তারপর ১০০ ডায়াল করে পুলিশকে খবর দেন। বৃহস্পতিবার কার্তিকের ফোন পাওয়ার পর, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয় । পুলিশ ঘটনাস্থলে অর্থাৎ বাড়িতে, দুই সন্তানকে দেখতে পাননি। পুলিশের ধারণা আটঘাট গুছিয়ে তারপরই সকাল বেলা, পুলিশকে খবর দেন কার্তিক।সব কাজ পরিকল্পনা ম্মাফিক করে, আবার এসে, স্ত্রীর মৃতদেহের পাশে বসে পড়েন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে অভিযুক্ত স্বামী, তার দোষ সিকার করেন। পুলিশকে কার্তিক জানান, তিনি নিজ হাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন তাঁর স্ত্রীকে। কার্তিকের বয়ান নথিভুক্ত করে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিয়ে থানায় যায় এবং মৃতা স্ত্রী সমাপ্তির দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ময়না তদন্তের জন্য।