মহানগর ডেস্ক: লোকসভা ভোটের মুখে শনিবার শুভেন্দু অধিকারী আবারও একটি রাজনৈতিক ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়ে বলেছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এমন একটা ‘বোমা পড়বে’, যাতে তৃণমূল ‘বেসামাল হয়ে যাবে’। বালুরঘাটের সভা থেকে শুভেন্দুর বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারও নাম না করে মমতা বললেন, “বোমা-টোমা ফাটানোর কথা বলছে, আমিও টার্গেট, অভিষেকও টার্গেট। এরা আমাদের জীবন পর্যন্ত নিয়ে নিতে পারে। এত্ত ডেঞ্জারাস এরা। মনে রাখবেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা ভাবি না। আমরা মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবি।”
শুভেন্দুর বক্তব্য শুনে যে কেউ বুঝতে পারবেন তিনি বড় ঘটনা ঘটা অর্থে, রাজনৈতিক বিস্ফোরণ বোঝাতে ‘বোমা পড়বে’ বলেছেন তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সেই বক্তব্য নিয়ে সত্যি বোমা ফাটার কথা বলছেন সেটা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবাক। কেউ কেউ বলছেন, “মমতা ভোটে সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে ভোটের বাজার মাত করতে চাইছেন। তাই তিনি বলছেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা ভাবি না। আমরা মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবি। তাহলে মমতা নিজের ও অভিষেকের নাম বললেন কেন? কোথাও কি তিনি মানুষের মনকে দুর্বল করে ভোটারদের মন জয় করতে চাইছেন?”
গতকাল মালদার রতুয়ায় এক সভা করছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা দেখবেন, আমি বলব না বিস্তারিত। আগামী সপ্তাহের শুরুতে এমন একটা বোম পড়বে, তৃণমূল বেসামাল হয়ে যাবে। নিশ্চিন্ত থাকুন। তৃণমূল কূল কিনারা পাবে না।” যদিও তারপর সভামঞ্চ থেকে নেমে শুভেন্দু স্পষ্ট করেছিলেন, তিনি রাজনৈতিক বিস্ফোরণের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। তবে কী এমন রাজনৈতিক বিস্ফোরণ ঘটতে চলছে, যাতে তৃণমূলে “বেসামাল” হয়ে যাবে, সেটা স্পষ্ট করেননি তিনি।
রবিবার বালুরঘাটের সভা থেকে নাম না করে এই একই ইস্যুতে মমতা পাল্টা নিশানা করলেন শুভেন্দুকে। মমতার প্রশ্ন, “বোমাটা কি মেরে ফেলার বোম? সাহস থাকলে আজই বলো। লুকিয়ে ছুপিয়ে কেন? নাটকটা তৈরি করতে আর একটু সময় লাগছে নাকি?” এরপরই বিজেপি শিবিরকে পাল্টা হুঁশিয়ারিও দিয়ে মমতা বললেন, “আমাদের কাছেও তথ্য আছে। তোমরা বাইরে থেকে কোন কোন দুরাত্মাদের এখানে পাঠিয়েছো, বাংলার বদনাম করার জন্য। আমরাও কিন্তু বুঝে নেব।” তবে মমতা এও স্পষ্ট করে দেন, তাঁর দল “বোমার বদলে বোমায় নয়, বোমার বদলে রবীন্দ্রসঙ্গীতে” বিশ্বাস করে।
তবে শুভেন্দু মমতার এই মন্তব্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।