মহানগর ডেস্ক : রায়গঞ্জের চাকুলিয়ায় তৃণমূল প্রার্থী ক ষ্ণকল্যাণীর সমর্থনে জনসভা থেকে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন “২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল হয়েছে। চার মাসের মধ্যে সুদ সহ বেতন ফেরত দিতে বলেছে। বিজেপির বিচারালয় তৈরী হয়েছে। বিজেপির লোক দেখে দেখে বসিয়েছে। আমি বিচারপতিদের বলছি না। এই রায়কে বলছি। ডিভিশন বেঞ্চের এই অর্ডার বেআইনি। আপনারা চিন্তা করবেন না। আপনাদের পাশে আমি আছি। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাবো। আমরাও লড়বো। যাদের চাকরি বাতিল বলেছে তারা হতাশ হবেন না, জীবনের ঝুঁকি নেবেন না। আমরা পাশে আছি ১০ লক্ষ চাকরি প্রস্তুত। একজনকে দেখলেন না? সুপ্রিম কোর্ট তাঁর রায়কে সেট অ্যামাইড করে দিয়েছিল। বলেছিল নতুন করে ডিভিশন বেঞ্চ করতে, কাকে নিয়ে হবে? সব তো বিজেপির বিচারালয়। আমি বিচার ব্যবস্থাকে বলছি না, এই বিচারালয়ে বিজেপির বেল অন্যদের জেল হয়। এর জন্য দায়ী বিজেপি, বিচারপতিদের দোষ নয়। বিজেপি যা বলে তাই হয়। কি করবে আমার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করবে? জেলে পাঠাবে? আমি প্রস্তুত।”
মমতা এদিন শুভেন্দুর নাম না করে তাঁকে নিশানা করে বলেন, “একজন বলছে ৩০টা আসন পেলে বাংলার সরকারটা পড়ে যাবে। এটা বাংলার সরকার। এই সরকার ফেলে দেওয়া অত সোজা নয়। এটা মহারাষ্ট্র নয়। আমরা ভয় পাই না, আমরা তৃণমূল করি।”
মমতা এদিন বলেন, “এই রাজ্যে বিজেপির চোখ হল কংগ্রেস এবং সিপিএম। এখানে ইন্ডিয়া জোট নেই। বিজেপির চোখ সিপিএম, কংগ্রেস। জলপাইগুড়িতে গিয়ে সিপিএম মানুষকে বলছে বিজেপিকে ভোট দিতে। ওরা চাইছে সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে।”
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর আদালতকে আক্রমণ করা এবং এসএসসি মামলার রায় নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের সমালেচনা করে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা হাই কোর্টকে বলছেন বিজেপির কথায় চলে? তিনি তো সাংবিধানিক পদে থেকে সংবিধানকে অস্বীকার করছেন। এমন ঘটনা দেশের কোনও রাজ্যে হয় না। ২৬ হাজার পরিবারকে পথে বসিয়ে এখন হাই কোর্টকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন বিজেপির বিচারালয়? কি করবে আমায় জেলে পাঠাবে? আমি প্রস্তুত, আমায় জেলে পাঠাবে? আদালত অবমাননার মানলা করবে? আমি তৈরী। এটা কোনও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা? ভূমিকা?”