মহানগর ডেস্ক : রানাঘাটের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বুধবার বললেন, “সিএএ কারও অধিকার কেড়ে নেবে না। মিথ্যাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি বলছেন সিএএ তে আবেদন করলে লক্ষ্মীর ভান্ডার পাবেন না। ছুঁয়ে দেখুন লক্ষ্মীর ভান্ডার, ওটা আপনার টাকা? ওটা মানুষের ট্যাক্সের টাকা। আমি বলছি, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় এলে ১ হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভান্ডার ৩ হাজার টাকা করে দেব।”
রানাঘাটের এদিনের সভা থেকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের একের পর এক জনমুখী প্রকল্পের উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য থেকে মমতার ইঞ্জিন ছেড়ে যাচ্ছে। ডাবল ইঞ্জিন পশ্চিমবাংলায় ঢুকছে। মমতার ফুটো নৌকায় কেউ উঠবেন না।” এরপর শুভেন্দু বলেন, “সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা কথা বলছেন। সিএএ কারও নাগরিকত্ব, অধিকার কেড়ে নেবে না। আজ মুসলিম ভাইরা নিশ্চিন্ত হয়েছেন। কই সিএএ কার্যকর দু’দিন হয়ে গেল, কেথাও কিছু হয়েছে? শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ নিয়ে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন।” সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষ্ণনগরে জনসভা করে বলেন এই জেলার দুটো আসন এবার বিজেপির চাই। এদিন শুভেন্দু বলেন, “রানাঘাটের মানুষ এবারও মোদীজিকে রানাঘাট উপহার দেবে। আপনারা এই জেলার দুটো আসনই এবার বিজেপিকে দেবেন। আজ রানাঘাট ভারতের থাকত না যদি না ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থাকতেন। নরেন্দ্র মোদী ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন সফল করেছেন। ৫০০ বছরের লড়াইয়ের ফলে কোনও অশান্তি ছাড়া রামমন্দির নির্মাণ হয়েছে। দেশ আজ রামময়।”
এর পরই বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “২০২৬ পর্যন্ত মমতার সরকার বাংলায় থাকবে না। তার আগে লোকসভা থেকেই তৃণমূলে বিদায় দেওয়া শুরু করবে রাজ্যের মানুষ। আমার দলের কর্মীদের কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা শান্ত থাকবেন। ২০২৬ এর আগেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে। মমতার ইঞ্জিন প।ল্যাটফর্ম ছেড়ে দিয়েছে, ডাবল ইঞ্জিন বাংলায় ঢুকছে।” এদিন সাংবাদিকরা শুভেন্দুকে প্রশ্ন করেন, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় কি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন? উত্তরে শুভেন্দু বলেন, “আমরা চোরের পরিবারের কাউকে দলে নিই না। বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এই নিয়ে আর একটা কথা বলেন তাহলে এই ফোনে গত দু’দিনে আপনি বিজেপির সঙ্গে কী কথাবার্তা বলেছেন সব আমার কাছে, এই ফোনে আছে, সব প্রকাশ করে দেব, তখন আপনি মুখ দেখাতে পারবেন না। আসলে ২০২১ এ বাবুনকে দিদি কথা দিয়েছিলেন এমপি করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দিদি নয়, পিসি, আমি যখন ছিলাম তখন দিদি ছিলেন।”