মহানগর ডেস্ক : গার্ডেনরিচে দুর্ঘটনার পর থেকেই বেআইনি নির্মাণ নিয়ে গর্জে উঠে পথে নেমেছে বিরোধীরা। জলাশয় বুজিয়ে কীভাবে নির্মাণ পুরসভাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে? মেয়রের পদত্যাগের দাবি উঠেছে ইতিমধ্যেই। গার্ডেনরিচের ঘটনায় কমিটি গঠন হল, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যেভাবে বেআইনি নির্মাণ আগাছার মতো গজিয়ে উঠেছে তার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ? শেষ মেষ বোধহয় হুঁশ ফুরলো পুরসভার।
বেআইনি নির্মাণ মোকাবিলায় এবার দায়িত্ব বাড়লো এলবিএস ও আর্কিটেক্টদের। এবার নথিভুক্ত এলবিএস ও অর্কিটেক্টদের বাড়তি দায়িত্ব দিচ্ছে কেএমসি। এই বিষয়ে বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে খবর, এবার থেকে কোনও নির্মাণ শুরু হলে তা নিয়ে ১৫ দিন অন্তর রিপোর্ট পেশ করতে হবে সংশ্লিষ্ট এলবিএস এবং অর্কিটেক্টকে। এমনকী এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হবে পুর-কর্তৃপক্ষের তরফে। এক্ষেত্রে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, চারতলা নয়, পুরসভার প্রাথমিক অনুমোদন না নিয়েই এলবিএস কিংবা আর্কিটেক্টের অনুমতিক্রমে তিনতলা পর্যন্ত করা যাবে নির্মাণ।
প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচে ঘিঞ্জি জায়গায় কীভাবে ৬ তলা বিল্ডিং নির্মাণ হল? নকশাই বা কী করে করা হল? পুরসভা অনুমতি দিল কীভাবে? এসব নানা প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা। এতদিন পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার নথিভুক্ত এলবিএস বা অর্কিটেক্টদের তৈরি করে দেওয়া নকশা মেনে চারতলা পর্যন্ত (১২.৫ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন) বাড়ি নির্মাণ করা যেত। পরে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দার ‘সেল্ফ ডিক্লিয়ারেশন’-এর ভিত্তিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দিত কেএমসি। তবে নতুন যে নিময় আসছে, তাতে নয়া নিয়মে চারতলা নয়, তিনতলা (১০ মিটার উচ্চতা) পর্যন্ত কোনও নির্মাণের ক্ষেত্রে মিলবে এই সুবিধা। অর্থাৎ, পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই এলবিএস বা আর্কিটেক্টের অনুমোদিত নকশার ভিত্তিতে তিনতলা পর্যন্ত বাড়ি তৈরি করা যাবে। এক্ষেত্রে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে যে প্রশাসনিক দীর্ঘসূত্রিতা ছিল, তা কাটানোর জন্যই গত বছর চারতলা পর্যন্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে নিয়মটি আনা হয়েছিল। কিন্তু এবার তাতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।