মহানগর ডেস্কঃ এবার নার্সিং পড়ার পথে আপনার বয়স আর বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেনা। বয়সের উর্দ্ধসীমা সক্রান্ত যাবতীয় বাঁধা তুলে দিল রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গেই দ্রুত শূন্যপদ পূরণের আশ্বাস দিল রাজ্য। একদিকে শূন্যপদ দ্রুত পূরণ, এবং অপরদিকে একইসঙ্গে আরও বেশি সুযোগ-দুই ক্ষেত্রে ভারসাম্য রেখে অভিনব উদ্দ্যোগ নিল রাজ্য স্বাস্থভবন।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার স্বাস্থ্যভবনের বিজ্ঞপ্তি পেশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার থেকে সরকারি-বেসরকারি কলেজে নার্সিং পড়ার জন্য বয়সের উর্দ্ধসীমা থাকবে না। এদিন স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা ডা. সিদ্ধার্থ নিয়োগীর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে বিএসসি, এমএসসি নার্সিং, এএনএম(অক্সিলারি নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফরি) এবং জিএনএম(জেনারেল নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি) পড়ার ক্ষেত্রে বয়স আর বাধা হবে না। এবার থেকে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি পাস এবং ইংরেজিতে নূন্যতম ৪০ শতাংশ নম্বর থাকলেই নার্সিং পড়ার সুযোগ মিলবে পড়ুয়াদের। তবে স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের উর্দ্ধসীমা পূর্বের মতো ৩৮ বছরই থাকছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, রাজ্যে অন্তত দশ হাজার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য তৈরি হয়েছে। ফলতঃ নার্সের চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। তবে বিগত তিন চার বছর ধরে প্রচুর হারে নার্স অবসর নিয়েছেন। ফলে ব্যাপক চাহিদা বাড়লেও শূন্যস্থান থেকেই যাচ্ছিল। এবার সেই চাহিদা পূরন করতেই এই নয়া বিজ্ঞপ্তি পেশ করল রাজ্য স্বাস্থ দফতর। যদিও রাজ্যে নার্সদের একটি বৃহৎ সংগঠন এই বিজ্ঞপ্তিকে কটাক্ষ করেছে। নার্স সংগঠনের তরফে ভাস্বতী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য,”রাজ্যে ৬০ হাজার নার্স সরকারি হাসপাতালে কর্মরত। এখনও প্রায় ২০ হাজার পদ ফাঁকা। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় না দিয়ে লেখাপড়ার সুযোগ দিয়ে কী হবে? সাত মন তেল হয়ত পুড়বে, কিন্তু লাভ কি হবে?”