মহানগর ডেস্ক : হাওড়ায় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একটি বাংলা টেলিভিশন চ্যানেলে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “হাওড়ায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করা ঠিক হয়নি। আমি হাওড়ার ভোটার হয়েছি। হাওড়ায় আমি নির্দল হয়ে দাঁড়াব। দিদি (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) -র আশীর্বাদ চাইব। দিদি হয়তো নিষেধ করবেন, তাও দাঁড়াব,দিদিকে বোঝাব, কেন দাঁড়াচ্ছি। সোজা দিদির সঙ্গে কথা বলব। দিদির সঙ্গে আমার মতভেদ নেই। প্রসূন মোহনবাগানের এজিএমে যে দুর্ব্যবহার করেছে, আমার গলা ধাক্কা দিয়েছে, সেটা ভুলিনি।বাড়ি বসে রাজনীতি করা যায় না, যেটা প্রসূন করে। সে সাংসদ তহবিলের পুরো টাকা খারচ করতে পারে না। সে প্রার্থী হলে হাওড়ার মানুষ মেনে নেবে না। হাওড়ায় অনেক যোগ্য প্রার্থী ছিলেন, একজন ফাইভ পাশকে গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে, একটা বাজে লোককে প্রার্থী করা হয়েছে।”
তাহলে কী বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় এবার তৃণমূল ছাড়বেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দিদি আমার কাছে ভগবান। দিদি যতদিন আছে ততদিন আমি তৃণমূল ছাড়ার কথা ভাবছি না। তবে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন প্রার্থী করা হল, হাওড়ার অন্য যোগ্যদের কেন প্রার্থী করা হল না সেই কথা ভাই হিসাবে জানতে চাইব। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের সঙ্গে সংযোগ রাখেন না, কেন তাঁকে প্রার্থী করা হবে?”
বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় এই ক্ষোভ অনেক প্রশ্ন তুলে দিল। প্রথমত তিনি বলেছেন, তিনি হাওড়ায় নির্দল হয়ে দাঁড়াবেন, তাহলে তিনি তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়বেন মমতার ভাই হয়ে। দ্বিতীয়ত বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন দিদি যতদিন আছেন ততদিন তৃণমূল ছাড়ছি না, তাহলে তিনি কী ভাবে তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী প্রসূনের বিরুদ্ধে হাওড়ায় প্রার্থী হবেন? তৃতীয়ত বাবুন বলেছেন, দিদি যতদিন আছেন, ততদিন তিনি তৃণমূলে থাকবেন, তাহলে কী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের মমতা পরবর্তী নেতা হিসাবে মান্যতা দেন না বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রশ্নগুলি বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভের পর উঠে আসছে।
শেষ পর্যন্ত হাওড়ায় তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হন কি না সেটাই দেখার।
এই মুহূর্তে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়েছেন তাঁর এক দাদার চিকিৎসার জন্য। তিনি মেনে নেন, “আমার সঙ্গে পিটি ঊষা, অনুরাগ ঠাকুর, গৈতম চৌবের সঙ্গে খেলা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলি। আমি দল ছাড়ছি না যতক্ষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। তবে দলের পাশে যাঁরা আছে তাঁদের কথা দল ভাবলে ভালো হত, হাওড়ায় অরূপ রায়, কল্যাণ ঘোষ, রানা চ্যাটার্জি, গৌতম চৌধুরী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রার্থী ছিলেন।”