মহানগর ডেস্কঃ ৪ দিন পর এজলাসে এসেই কটাক্ষের সুর চড়ালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এইদিন তিনি বললেন “গত বছর যখন লেবার ম্যাটার শুনতাম, তখন শুনেছিলাম অনেকেই দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে পুজা দিয়ে এসেছিল, মা একে সরাও বলে। এখন মনে হয় ডিআই ও অন্যান্যরা কালীঘাটে গিয়ে পুজা দিয়েছে!”
ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ার জন্য ভুয়ো জাতি শংসাপত্রের অভিযোগে সিবিআইকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাদ্যায়ের সেই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টেরই বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়। এদিকে ডিভিশন বেঞ্চ মামলা খারিজ করার পরেও সিবিআই-কে এফআইআর-এর নির্দেশে অটল থাকেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় । শেষমেশ দুই বিচারপতির এইরকম অন্তরদ্বন্দ মেটাতেই স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে শীর্ষ আদালত। কোর্টের নির্দেশে বর্তমানে মেডিক্যাল মামলাটি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এবার থেকে মেডিক্যাল দুর্নীতি সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি শীর্ষ আদালতেই হবে বলে জানায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিশেষ বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি এদিন বলেন, “দেশের ঐতিহ্যশালী হাইকোর্ট হল কলকাতা হাইকোর্ট। এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি জন মানসে প্রভাব ফেলবে। আইনের এই মন্দিরে এটা মানা যায় না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব রকমভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির জন্যে লজ্জিত এবং দুঃখিত।” এদিকে ‘এনাফ ইজ এনাফ’ বলে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত মামলা ছাড়েন বিচারপতি সৌমেন সেন! ওদিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চিঠি দেন ২৫৩ জন আইনজীবী।
প্রসঙ্গত কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির সংঘাতের জেরে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরে গিয়েছে শিক্ষা সংক্রান্ত সব মামলা। সেই মামলাগুলি এখন করা যাবে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছে। এই মর্মে হাইকোর্টের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। হাইকোর্টের সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এখন থেকে শ্রমিক ও শিল্প সংক্রান্ত মামলাগুলি দেখবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে শিক্ষা সংক্রান্ত যে মামলাগুলি চলছে হাইকোর্টে, সেই মামলাগুলিও শুনতে পারবেন তিনি। কিন্তু নতুন করে কোনও মামলা দায়ের করা যাবে না তাঁর এজলাসে। সব মামলাই হবে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।