মহানগর ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি এখনও জারি রয়েছে। প্রতিদিনই হবু শিক্ষকরা চাকরি পাওয়ার আশায় আন্দোলনে লিপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু চাকরির কোনও আশা নেই। বরং পুলিশের কাছে মারধর খেয়েও আন্দোলন জারি রেখেছেন তাঁরা। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ বহুদিন ধরেই বন্ধ। যাদের প্যানেলে নাম আছে তাঁরাই চাকরির আশায় বুক বেঁধেছে।
বুধবার রাজ্য সরকারকে ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগের প্যানেল আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। ৪২ হাজার ৯৮৯ শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন তিনি। ২০১৬-র প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার শেষ, সেখানেই থমকে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া। অবশেষে এত আন্দোলনের পর অবশেষে ৪২ হাজার ৯৮৯ শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্যানেল প্রকাশের হার্ড কপি ও সফট কপিও পেশের নির্দেশ দিয়েছেন। সঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, যদি এই প্যানেল প্রকাশ হওয়ার পর তার ওপর ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিল কীভাবে। যে প্যানেল প্রকাশিত হয়নি সেই প্যানেলের ওপরই কেবল স্থগিতাদেশ দেওয়া সম্ভব।
তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চকে জানিয়েছে যে, ধাপে ধাপে প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু তবুও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য ও মামলার গতিপ্রকৃতিতে অসঙ্গতির গন্ধ পাচ্ছিলেন। তাই তিনি প্যানেল চেয়ে পাঠিয়েছেন। এখন শুধু দেখার পর্ষদ উপযুক্ত নথি আদালতে পেশ করতে পারে কিনা।