মহানগর ডেস্কঃ রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। অযোধ্যার এই উৎসবে বিশ্বাবাসীর উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। আপ্লুত দর্শককুল পৌঁছে গেছেন মাহেন্দ্রক্ষনের সাক্ষী হতে। তাবড় রাজনীতিবিদ থেকে গুণীজন সকলেই যে যার অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করছেন সমাজমাধ্যমে। এরই মাঝে বলি ক্যুইন কঙ্গনাও অনুরাগীদের সাথে ভাগ করলেন মনের কথা। জানালেন কেমনভাবে তিনি দেখতে চান রাম রাজ্যকে।
এক ঝাঁক গুনীজন থেকে তারকা সকলের আমন্ত্রন এই অনুষ্ঠানে। বিশেষ ব্যক্তিদের সমাহারে গমগম করছে অযোধ্যা। অভিনেত্রীর কাছে আমন্ত্রন আসার আগে থেকেই তিনি ছিলেন চরম উত্তেজিত। বিভিন্ন জায়গায় নায়িকাকে দেখা গেছে জয় শিয়া রাম উচ্চারণ করতে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশংসা বাণীও শোনা গেছে কঙ্গনার মুখে। ২০ তারিখ তিনি অযোধ্যার উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। গত শুক্রবার মুম্বই থেকে বেরোনোর আগে তিনি সাংবাদিক বন্ধুদের সাথে মনের কথা ভাগ করে নিয়েছেন। রামলালার মন্দির স্থাপনের আধ্যাত্মিকতা ও গভীর তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন নায়িকা। রামলালাকে শুধুমাত্র একটি মূর্তি এবং এটিকে শুধুমাত্র যে একটি মন্দির এই চিন্তাভাবনার ওপর ভর করে তিনি বর্ণনা করতে নারাজ। এমনটাই তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন। সব কিছুর ওপরে তিনি দেশবাসীর আবেগকে তুলে ধরেছেন জনসমক্ষে।
ঐতিহাসিক এই মহাযজ্ঞে সামিল হতে পেরে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। ভগবান রামের প্রতি তাঁর গভীর ভক্তি প্রকাশ পেয়েছে। এমন বিশেষ দিনে তাঁর আমন্ত্রণ পাওয়াটা অতীত কালের কর্মের সুফল বলে তিনি জানান। কঙ্গনা রানাওয়াত বলেন মূর্তিটি শুধুমাত্র প্রতিমা হিসেবে দেখেন না। দেশবাসীর উদ্যেশ্যে তাঁর বার্তা রাম মন্দির একটি নতুন যুগের ভোরের সূচনা করবে। শক্তি, ইতিবাচকতা, মনের উচ্চতর চেতনার বহিঃপ্রকাশ এই মন্দির স্থাপনা। অপার ও অতুলনীয় আনন্দ নিয়ে আসবে মানুষের জীবনে।
কঙ্গনা বরাবরই শ্রীরামের চরম ভক্ত। রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা হোক এমনটা তিনিও চান। স্বভাবতই আনন্দে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন নায়িকা। বিশেষ মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। https://www.instagram.com/reel/C2UCJKuored/?igsh=czkxcWR0ZXo5aXVs