মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহানকে নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে রবিবার বসিরহাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে সিবিআইয়ের গাড়ি। সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য রয়েছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রবিবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। জানা যাচ্ছে শেখ শাহজাহানকে আরও কিছু দিন নিজেদের হেফাজতে চাইবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
রাজ্য পুলিশ গত ২৯ ফেব্রুয়ারি শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করে। বসিরহাট আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সিআইডি-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা হাই কোর্ট শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে বলে। সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে আলে যায়। হিসাব মতো, তিন দিন শাহজাহানকে হেফাজতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে পাওয়ার পরেই সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে তৎপর হয়েছে সিবিআই। পর পর দু’দিন তারা সন্দেশখালিতে গিয়েছে। তার মধ্যে দ্বিতীয় দিন শাহজাহানের বাড়ি, বাজার, অফিসে তল্লাশি চালুয়েছে সিবিআই। ইডির উপর হামলার ঘটনার পুনর্নিমানও হয়েছে শাহজাহানের বাড়ির সামনে। বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিবিআই সন্দেশখালির সরবেড়িয়া এলাকা কার্যত চষে ফেলেছে এই কদিন। এমনকি, ডুগরিপাড়া গ্রামে দু’জন শাহজাহান-ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েঋে সিবিআই।
এরই পাশাপাশি নিজাম প্যালেসে শেখ শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ইডি আধিকারিকদেরও নিজাম প্যালেসে আসাযাওয়া করতে দেখা গিয়েছে। গোটা ঘটনার তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করার কাজ চলছে। সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের সঙ্গেও ইডি আধিকারিকেরা ছিলেন। ছিল ফরেন্সিক দল এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।
রবিবার কলকাতায় তৃণমূলের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই ‘জনগর্জন সভা’য় আসার জন্য সকাল থেকেই জেলার জনস্রোত কলকাতামুখী। সিবিআইয়ের কনভয় যখন শাহজাহানকে নিয়ে বসিরহাটের পথে, সেই সময়েও উল্টো দিক থেকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের গাড়ি কলকাতার দিকে যেতে দেখা গিয়েছে। এমনকি, সেই গাড়ির কারণে মাঝেমধ্যে থমকেও যেতে হয়েছে শেখ শাহজাহানকে নিয়ে বসিরহাট আদালতমুখী সিবিআইর কনভয়।