নয়াদিল্লিতে গিয়ে বঙ্গভবনে থাকতে অনিহা গভর্নর বোসের। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিবেদিত প্রচেষ্টার কথা বলেন তিনি।বঙ্গভবন সুসংহত অবস্থায় নেই,তাই তিনি নৌ সেনার গেস্ট হাউসে উঠেছেন তিনি।অধিকন্তু, রাজ্যপাল পরিকাঠামোর যথাযথ কার্যকারিতা এবং রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য পূর্তমন্ত্রীকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই স্বীকৃতিটি প্রস্তাব করে যে পূর্তমন্ত্রী এই অঞ্চলের প্রয়োজনগুলি মোকাবেলায় সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন, সম্ভবত এমন উদ্যোগের মাধ্যমে যা বঙ্গভবনের মতো পাবলিক স্পেসের উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণে অবদান রাখে।
রাজভবনের উল্লেখ থেকে বোঝা যায় যে তথ্যটি রাজ্যপালের সরকারি বাসভবন থেকে নেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটটি বিবৃতিগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা যোগ করে, কারণ সম্ভবত গভর্নরের মন্তব্যগুলি অফিসিয়াল ক্ষমতায় করা হয়েছিল, যা আনুষ্ঠানিকতা এবং গুরুত্বের একটি স্তর নির্দেশ করে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, বঙ্গভবনে সরকারি অফিসারদের গতবার নয়াদিল্লি সফরে এসে রাজ্যপাল তাঁর থাকার ঘরে কিছু পরিবর্তন করতে বলেছিলেন। কী পরিবর্তন করতে হবে, সেটা নিয়ে একটি চিঠি চেয়েছিলেন অফিসাররা। রাজ্যপালকে জানানো হয় তিনি চাইলে সরাসরি সেই চিঠি পিডব্লিউডি দফতরকেও দিতে পারেন। কিন্তু রাজ্যপালের অফিস থেকে কোন চিঠি আসেনি। মৌখিক আবেদনে সরকারি কাজে টাকা অনুমোদন হয় না অফিসাররা জানান। তাঁর মতামত উল্লেখ করে রাজ্যপালের অফিস থেকে চিঠি এলেই কাজ করিয়ে দেওয়া যেত। সেটা আসেনি, তাই হয়নি।
এদিকে বঙ্গভবন নিয়ে কথা বলার পর সেখানে সবটা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘আমি বঙ্গভবনে থাকিনি। তার কারণ খুব সহজ। জায়গাটা ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখুন। কিন্তু বঙ্গভবনের সৌন্দর্যায়নের নামে ফালতু টাকা ব্যবহার করবেন না। মন্ত্রী এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন বলেছেন। সেটা জেনে আমি খুশি হয়েছি। নিচুতলার আধিকারিকদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করা উচিত। তার জন্য পূর্তমন্ত্রীকে বিরক্ত করা কাজের কথা নয়। কিছু আধিকারিকের হেলেদুলে চলার মানসিকতা দূর করতে হবে। তাঁদের জন্যই মন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।’