মহানগর ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ থেকে রেশন কিংবা গরু পাচার মামলায় CBI-ED স্ক্যানারে রাজ্যের একাধিক হভিওয়েট নেতারা জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মর রাজ্যের সমস্ত প্রাক্তন মন্ত্রিরা। এবার তাদের পাশেই দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আত্মবিশ্বাসের সুর তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায় । নেত মন্ত্রীদের গ্রেফতারি নিয়ে পালটা জবাব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গরু পাচারের দায় সম্পূর্ণ কেন্দ্রের বলেই দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
নেতাজি ইন্ডোরের মেগা সমাবেশের মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “গরু কাদের আন্ডারে? বিএসএফ। কাদের অর্গানাইজেশন? কেন্দ্র। গরু পাহারা দেয় কারা? সীমান্ত পাহারা দেয় কারা? বিএসএফ। গরু আসে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান থেকে। গাড়ি পাসের সময় তোমরা টাকা খাও না? ল্যাভেঞ্চস খাও।” কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি আরও বলেন, “কয়লা ধুলেও যাবে না ময়লা। এগুলো কার অধীনে? কেন্দ্র। এগুলো বারবার বলুন। মিথ্যা বারবার বলে সত্যি করা হয়। আমরা সবাই চোর? দুর্নীতি দেখাচ্ছে। আর সেখানে শিখিয়ে টাকা দিয়ে বলা হচ্ছে, বলো তৃণ চোর। না বললেই রেড করবে।” গ্রেফতার হওয়া চার নেতা-মন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন “আজ কেষ্ট জেলে, পার্থ জেলে, মানিক জেলে, বালু জেলে। আর হাসছেন। ভাবছেন এটাই চলবে? আগামী দিন যখন চেয়ারে থাকবেন না, তখন কোথায় থাকবেন? জেলে না সেলে? আজ সিপিএম ও বিজেপি কোলবালিশ হয়ে ঘুরছে। এদের একজন বলছে অমুকের বাডি যাবে। চলে গেল। লুট করে এল। সিজার লিস্ট দিল না। আন্ডার গান চমকে ধমকে রেখে দিল। এই সরকার যত তাড়াতাড়ি যায় তত ভালো।” প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা আরও বলেন “আমাদের চার বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন। ওরা যদি চারজনকে জেলে রাখে, আমি পুরনো কেস রিওপেন করে ৮ জনকে জেলে ভরে দেব।” মূলত এই মন্তব্যে মুখ খোলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পালটা শুভেন্দুকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। কটাক্ষ করে বলেছে, “FIR আর আদালতে গিয়েই সময় কাটিয়ে দেন শুভেন্দু। কাজের কাজ কিছুই করেন না।”
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার পরই গরু পাচার মামলায় শুরু হয় ধরপাকড়। অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন তিনি। দোর্দণ্ডপ্রতাপ সবুজ শিবির নেতার আপাতত ঠিকানা তিহার জেলই। তারপর একে একে গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য-সহ একাধিক ছোটবড় নেতা। সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির জালে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে এত জন নেতা মন্ত্রীর গ্রেফতারির পরেও কারও বিরুদ্ধে তেমন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তৃণমূল। যা নিতে বিরোধীরা সরব হয়েছেন তবে দলের সমসত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।