মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে জানালেন, “সিএজি রিপোর্টে যা উল্লেখ করা আছে তার সবটাই মিথ্যে। সমস্ত ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট রাজ্য সঠিক সময়ে কেন্দ্রকে দিয়েছে। চাইলে সেই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কেন্দ্র চাইলেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছ থেকে রাজ্যের সেই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।” মমতার দাবি, ” সিএজি রিপোর্টে লেখা আছে, ২০০৩ থেকে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয়নি রাজ্য। ২০০৩ সালে রাজ্যে আমরা ছিলাম? সিএজির সবটা মিথ্যা।”
২০০২-‘০৩ থেকে ২০২২-‘২৩ পর্যন্ত তথ্য সিএজি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, “সিএজি রিপোর্টে উল্লেখ আছে রাজ্য কেন্দ্রের কাছ থেকে টাকা পেয়ে খরচ করেছে, অথচ ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেয়নি। বাংলার মানুষ এই বেনিয়মের হিসাব চায়।”
সিপিএম নেতা চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, “সিএজি প্রমাণ করুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলছেন আর তারা যা বলছে এর মধ্যে কোনটা সত্যি। তা না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। তাহলেই তো সব স্পষ্ট হয়ে যায়।”
তবে সুকান্ত মজুমদারের কথা ও সিএজি রিপোর্টকে বিশ্বাস করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে অসত্য বলতে হয় আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে সত্য ধরলে সিএজি রিপোর্ট এবং সুকান্ত মজুমদার তথা বিজেপির অভিযোগকে অসত্য ধরতে হয়। এই অবস্থায় একটাই প।প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তাহলে সত্যি কে বলছেন?
আর এই সত্যি-মিথ্যের জাতাকলে পড়ে যারা ১০০ দিনের কাজ করেছেন তাঁরা নাজেহাল হচ্ছেন। আর এই রাজ্য বনাম কেন্দ্র বিবাদ তৃণমূল বনাম বিজেপি সংঘাতে পরিণত হয় এবং যার যেখানে জোর সে সেখানে ভোটে জিতে ক্ষমতা দখল করে নেয়।