মহানগর ডেস্কঃ জীবনের ৩৫ টা বসন্ত পার করে ফেললেন। ডানপিটে মেয়েটার বেড়ে ওঠা জলপাইগুড়িতে। তড়কা সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ইন্ডাস্ট্রি। এই মুহূর্তে টলিপাড়ার মোস্ট এলিজিবেল ব্যাচেলর এই নায়িকা। ১৯৮৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্ম হয়েছিল মিমির। কাজের সূত্রে আসা কলকাতায়। খাতায় কলমে আজও সিঙ্গেল তকমা নায়িকার।
তবে মিমিকে ভালোবাসার মানুষের অভাব নেই। কাছের মানুষদের নিয়েই উদযাপনে ব্যস্ত মিমি। বুম্বা দা থেকে জিৎ গাঙ্গুলী, অনিন্দ্য সবাইকে সাথে নিয়ে কাটলেন কেক। সেলিব্রেশন পর্ব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল শুক্রবার রাত থেকেই। নীল জমকালো ড্রেসে ধরা দিয়েছিলেন মিমি। কেক কেটে সকলকে নিজের হাতে খাইয়ে দিলেন। ছিল নাচ গান ও দেদার খানাপিনা। কিন্তু নায়িকার বন্ধু তালিকায় বেশ অনেকটাই বদল এসেছে।
রাজের সঙ্গে ব্রেকআপের পর প্রকাশ্যে কোনও সম্পর্কে জড়াননি নায়িকা। এদিক ওদিক বেড়াতে গেছেন। তবে কার সাথে গেছেন সেসব অজানা। মিমির জন্মদিনের পার্টিতে দেখা যায় পোশাকশিল্পী অভিষেক রায়কে। তবে দেখা মেলেনি মিমির ‘বোনুয়া’ নুসরত বা যশকে। আগেই মিমির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কথা প্রকাশ্যেই মেনে নিয়েছেন নুসরত, তবুও ছবির প্রিমিয়ারে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলন মিমিকে। মিমিকে যশ-নুসরতকে জন্মদিনের দাওয়াতে ডেকেছিলেন? উত্তর জানা নেই! এত গেল গ্র্যান্ড পার্টির গল্প।
শনিবার ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টা ছুঁতেই মিমির কসবার ফ্ল্যাটে প্রিয়জন। নায়িকাকে সারপ্রাইজ দিতে হাজির কাছের মানুষরা। সেই তালিকায় প্রথমেই ছিলেন অভিনেতা অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। মিমির সঙ্গে অনিন্দ্যর বন্ধুত্ব এখন টক অফ দ্য টাউন। কিছুদিন আগেই দুজনে আন্দামান গিয়েছিলেন। মিমির জন্মদিনের মধ্যরাতের সেলিব্রেশনের জন্য একদম অপ্রস্তত ছিলেন নায়িকা। রাতদুপুরে বন্ধুদের দেখে শুরুতে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দেন মিমি! কারণ বন্ধুদের হাতে মুঠোফোনের ক্যামেরা অন, আর তিনি তখন নাইট ড্রেসে। চিত্কার করে বলতে শোনা গেল, ‘আমাকে পোশাক বদলানোর জন্য একটু সময় দে’। দেখুন।