মহানগর ডেস্ক : রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি মামলার রায়দান হবে আগামী সোমবার। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই রায়দান হবে। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বশাক এবং বিচাটেতি শাব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চে এই রায়দান হবে। সোমবারের এই মামলা সূচি কলকাতা হাই কোর্টের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই রায়দানের উপর নির্ভর করছে ২০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার ভবিষ্যৎ। একই সঙ্গে সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ৩৫০টি মামলার রায়দানও হবে।
সুপ্রিম কোর্ট ছয় মাসের মধ্যে বিশেষ বেঞ্চকে ছ’মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করতে বলেছিল। সেই মতো গত ডিসেম্বর মাস থেকে মামলাগুলির শুনানি শুরু হয় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বিশেষ বেঞ্চে। অবশেষে লোকসভা ভোটের মাঝে সেই মামলার রায় দিতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এর আগে এই মামলার শুনানি করেছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাক্তন বিচারপতির দেওয়া বিভিন্ন রায় নিয়ে রাজ্য সরকার তরফে আপত্তি জানানো হয়েছিল। পরে ঘটনাচক্রে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা সরানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট মামলাগুলি অন্য কোনও এজলাসে পাঠানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর থেকেই প্রধান বিচারপতির নির্দেশে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছিল।
সোমবার এসএসসির গ্ৰুপ-সি, গ্ৰুপ-ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের মামলার চূড়ান্ত রায়দান হবো কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগে গত ২০ মার্চ বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চে টানা শুনানির পর রায় ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত। অবশেষে সোমবার সমস্ত অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে।
কলকাতা হাই কোর্ট খোলার পরই সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় এসএসসি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার রায় ঘোষণা করবে হাই কোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই ২০২২ সালে ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জেলবন্দি রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক, নেতা, যুব নেতা, শিক্ষা দফতরের সরকারি আমলারা। তবে এই মামলায় কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বরের নমুনা তাঁর কন্ঠস্বরের সঙ্গে মিলে গেছে। সেই বিষয়ে এই রায়ে কোনও আভাস পাওয়া যায় কিনা সেদিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী। কেন না কালীঘাটের কাকু অর্থাৎ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর নাম জড়িয়ে আছে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর কন্ঠস্বর তদন্তকারী দলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে ইডি দাবি করেছে। সুজয়কৃষ্ণ নিজেই স্বীকার করেছিলেন তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানিতে কাজ করতেন, তার সাহপবকে কেউ ধরতে পারবে না! তাই বিরোধীরা প্রশ্ন করছেন, এই রায়দানে কালীঘাটের কাকুর কন্ঠস্বর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগের কী নিষ্পত্তি হবে?