মহানগর ডেস্ক : ভপতিনগর কাণ্ডের রিপোর্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই আদালতে চূড়ান্ত ভর্ৎসিত হয়েছেন ওসি গোপাল পাঠক। এবার আরো চাপ বাড়ল তার। ওসির বিরুদ্ধে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। কী অভিযোগ? বিজেপি বিধায়কের বক্তব্য, ভূপতিনগর থানার ওসি নাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতো আচরণ করছেন। উল্লেখ্য, গতকাল একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায়, বিধায়কের সঙ্গে পুলিশ আধিকারিক বচসায় জড়িয়েছেন।ভূপতিনগর থানার ওসি নাকি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মতো আচরণ করছেন। ১৭ এপ্রিল মামলার শুনানির আগেই আরো চাপে পড়ে গেলেন ওসি।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।তাতে দেখা যায়, বিধায়কের সঙ্গে পুলিশ আধিকারিক বচসায় জড়িয়েছেন।তবে ভাইরাল ভিডিয়োর পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি অভিযোগ করে, সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই বিধায়কের অফিসে ঢুকে এক বিজেপি নেতাকে ধরার চেষ্টা করে পুলিশ।আৎ তারপরই ওসির নামে কমিশনে নালিশ জানান বিজেপি বিধায়ক। যদিও ভিডিওর ,ত্যতা যাচাই করিনি আমরা।
ভূপতিনগরে বোমা বিস্ফোরণের মামলার তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হন এআইএ আধিকারিকরা। আর তার পর থেকেই তোলপাড় রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি। নবকুমার পাণ্ডা, মিলন বার, সুবীর মাইতি, অরুণ মাইতি ওরফে উত্তম মাইতি, শিবপ্রসাদ গায়েন, বলাইচরণ মাইতি, অনুব্রত জানা এবং মানবকুমার বড়ুয়াকে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাজিরা তৃণমূল নেতারা। এই আবহে এনআইএ তদন্তকারীরা ভূপতিনগরে পৌঁছে যান। সেখান থেকে একজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ই বিক্ষোভের মুখে পড়েন তদন্তকারীরা। এদিকে হামলায় দুই এনআইএ অফিসার আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা যায়। শেষ পর্যন্ত দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। আরও তিন তৃণমূল নেতাকে তলব করা হয়েছে এনআইএ-র তরফ থেকে। আর এরই মাঝে এনআইএ-র বিরুদ্ধে পুলিশে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।