মহানগর ডেস্ক : নিশীথ প্রামাণিককে অপরাধী বলে কোচবিহারের সভা থেকে দেগে দিলেন তৃণমূলের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়াকে পাশে নিয়ে রোড শো করেন। তারপর তিনি কোচবিহারে একটি নির্বাচনী সভা করে সেখান থেকে বাংলার বিরুদ্ধে আক্রমণ নামিয়ে আনার অভিযোগ করেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ যেমন অভিষেকের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিলেন তেমনই কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক।
অভিষেক বলেন, “মানুষ জানে না এই নির্বাচনে তারাই আসল শক্তি। এক সাধু যেমন একটি ইঁদুরকে প্রথমে বেড়াল, তারপর কুকুর, তারপর বাঘ বানালেন, শেষে ওই বাঘ সাধুকে খেতে এলে আবার সাধু সেই বাঘকে ইঁদুর বানিয়ে দেন। আপনাদের তেমন ক্ষমতা আছে। আপনারাই নিশীথ প্রামাণিককে ভোট দিয়েছিলেন। তাই আজ সে কোচবিহারের মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা, বাড়ির টাকা আটকে দিয়ে নিজে পুলিশ আর কনভয় নিয়ে ঘুরছেন। আপনারাই পারেন আগামী ১৯ এপ্রিল ১ নম্বর বোতাম টিপে জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়েকে জয়ী করে নিশীথ প্রামাণিককে ইঁদুরে পরিণত করতে। একজন আসামী, তাঁকে গ্রেফতার না করে প্রার্থী করেছেন নরেন্দ্র মোদী। নিশীথ আপনাদের জন্য কি করেছেন? কজনকে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী দিয়েছেন? কতটা রাস্তা বানিয়েছেন? এখানে এসে বলছেন মোদীকে ভোট দিন। তাহলে আপনি কেন? মোদীকে প্রার্থী করুন।”
অভিষেক এদিন বলেন, “আমি রোড শো করার সময় দেখলাম সিতাই বাজার, শীতলকুচি বাজারে চৈত্রের কেনাকাটার ভিড়। কেন বলুন তো? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ৫০০ থেকে ১০০০, ১০০০ থেকে ১২০০ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের এটাই গ্যারিন্টি। আপনাদের বলছি একেকজন ১০ জন করে মানুষকে আমি যা বললাম সেটা বলুন। সেই সব মানুষের কাছে জানতে চান যারা বিজেপিকে ভোট দেয়, কেন তারা বিজেপিকে ভোট দেয়? যত চোর, ছ্যাঁচোড়, মাতাল, নেশাখোর সব বিজেপি করে। কোনও ভদ্র, সভ্য, সামাজিক সম্মান আছে যাদের, তেমন মানুষ বিজেপি করে না।”
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, “এবার কোচবিহারে জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়া জয়ী হবেন। আমি আবার ৪ জুনের পর এখানে আসব। আর জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়াকে জেতালে ৩১ ডিসেম্বর আবাস যোজনার টাকা আপনাদের ব্যাঙ্কে চলে যাবে। যদি তৃণমূল না জেতে, তাহলে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী সহ কোনও কিছু পাবেন না।”