মহানগর ডেস্ক: বাজারে এখন রূপোলি শস্যের ছড়াছড়ি। তবে দাম শুনলে আঁতকে ওঠাটাই স্বাভাবিক। তিন চার কেজি ওজনের ইলিশের দাম কবেই কয়েক হাজার ছুঁয়েছে। যাঁদের সাধ আছে, তবে পকেটে তেমন রেস্ত নেই। তাঁদের জন্য বাজারে ঢেলে বিক্রি হচ্ছে খোকা ইলিশ। দাম যে খুব একটা কম, তা নয়। তবে বড় ইলিশ কিনতে গিয়ে যখন হাজার দুহাজার টাকা খসছে, সেখানে কিছুটা হলেও রেহাই মিলছে। আর সেখানে চলছে পরিবেশ দূষণের রমরমা।
বাজারের পর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ছোট্ট প্লাস্টিকের প্যাকেটে খোকা ইলিশ (Plastic Packed Hilsa )। শয়ে শয়ে, হাজারে হাজারে। আর বাজারে আসছেন ইলিশের স্টোররুম থেকে। সেই প্লাস্টিকে মোড়া ইলিশ বিক্রির সময় প্লাস্টিকের মোড়কগুলো ছড়ানো হচ্ছে যত্রতত্র। বহু ক্ষেত্রেই চলে যাচ্ছে নালা-নর্দমায়। ফলে এমনিতেই প্লাস্টিকের রমরমায় নালার নিকাশি ব্যবস্থা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে থাকে, সেখানে এমন হাজার হাজার প্লাস্টিক প্যাকেট তো সোনায় সোহাগা।
বাজারে জমে থাকা প্লাস্টিকের পাশাপাশি নালা নর্দমায় জায়গা করে নেওয়া প্লাস্টিকগুলি সরানোর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। পুরসভার নজরে বিষয়টি পড়ছে বলে মনে করেন না অনেকেই। ক্রেতাদের কেউ কেউ বিষয়টি পুরসভার নজরে আনার কথা ভাবছেন। কিন্তু তার আগে যা হওয়ার তা হয়ে চলেছে। এমনিতে খোকা ইলিশ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সরকারের।
কিন্তু তাতে কি! বাজারের রমরম করে বিক্রি হচ্ছে খোলা ইলিশ। ছশো থেকে পাঁচশো, চারশো টাকা কেজি। বিক্রিও হচ্ছে। যাঁদের হাজার বা তারও বেশি টাকা দিয়ে ইলিশ কেনার ক্ষমতা নেই, তাঁরা রূপোলি শস্যের স্বাদ পেতে খোকা ইলিশ কিনছেন। আর বাজারে ছেয়ে যাওয়া প্লাস্টিকের মধ্যে থাকা ইলিশ যেমন চুটিয়ে বিক্রি হচ্ছে,তেমনই চলছে পরিবেশ দূষণ। বিষয়টি সরকারের নজরে আদৌ আসবে কিনা, তা নিয়ে বহু পরিবেশপ্রেমীর মনে সংশয় রয়েছে।