মহানগর ডেস্ক : পাখির চোখে জলপাইগুড়ি। তৃণমূল-বিজেপি দুই দলেরই টার্গেট উত্তরবঙ্গ। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়িতে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে প্রচারে নামেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ঝড়ের তাণ্ডবের খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করলেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের না যাওয়াটাকে ইস্যু করেছে তৃণমূল। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সভাপতিকে সব জায়গায় যেতে হবে এমন কোনও নিয়ম নেই। এদিকে, ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিয় সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এবার ক্ষত-বিক্ষত জলপাইগুড়িতে পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবারই কোচবিহারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জলপাইগুড়িতে তাঁর সমাবেশ রবিবার। বিজেপি সূত্রে খবর, দুই আসন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের জন্য একই মঞ্চ থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার সমাবেশ করবেন নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, জলপাইগুড়িতে দুর্যোগের ঘটনা ঘটার পরই বিজেপি নেতা কর্মীদের মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তাঁদের দাঁড়ানোর আগেই সেখানে হাজির হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে সূচি ছিল প্রধানমন্ত্রী রবিবার প্রথমে বালুরঘাটে সভা করবেন। তার পর জলপাইগুড়ি যাবেন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরে বদলে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা। এখন পরিকল্পনা করা হয়েছে, রবিবার বালুরঘাটে মোদীর সভা হচ্ছে না। বদলে তিনি আগেই জলপাইগুড়িতে পৌঁছে যাবেন।
উল্লেখ্য, জলপাইগুড়িতে বিজেপির সংগঠন মজবুত। অন্যদিকে তৃণমূলের বিধানসভায় ফল খুব একটা ভালো না হওয়ায় বাড়ছে চাপ। কী হবে লোকসভায়? চা বাগান থেকে চা শ্রমিকদের নিয়েও শাসক-বিরোধীদের আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ লেগেই রয়েছে। গড় রক্ষায় মরিয়া বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী কী বার্তা দেন, সেটাই এখন দেখার।